আওয়ার ইসলাম : ইয়েমেনের প্রধান বন্দরনগরী হুদাইদাহে সৌদি জোটের হামলায় আরব আমিরাতের চার সেনা এবং ২২ জন হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে আরব আমিরাত।
গণমাধ্যমগুলো বলছে, শহরটির দক্ষিণে বিমানবন্দর এলাকায় মূল যুদ্ধটি সংগঠিত হয়।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ইয়েমেনের কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত কোনো শহর দখল নেওয়ার এটাই প্রথম চেষ্টা।
যুদ্ধবিক্ষুব্ধ দেশটির প্রায় ৮০ লাখ লোক অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে এবং উপকূলবর্তী শহরটির বিদ্রোহীদের দখলে থাকা অংশ সবচেয়ে বেশি ত্রাণ পেয়ে থাকে।
অঞ্চলটির হাসপাতালগুলো জানিয়েছে, ২২ জন হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।
জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার হুদাইদাহে হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে ১৮ বার বিমান হামলা হয়েছে।
হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে জোটের একটি যুদ্ধজাহাজে মিসাইল আক্রমণের কথা বলা হয়েছে; যদিও এ তথ্যে সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। শহরের চার লাখ মানুষ এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল-মালকি বলেন, সাধারণ নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখতে তাঁরা হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে মুখোমুখি স্থলযুদ্ধ এড়াতে চাইছেন।
তুর্কি আল-মালকি আল-হাদাথ টেলিভিশনকে বলেন, বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর এবং রাজধানী সানা পর্যন্ত যাওয়ার প্রধান সড়কটি দখল করাই তাঁদের লক্ষ্য।
‘ঈদ জামাতে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কোনকিছু আনবে না’
এসএস