শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


যেমন কাটছে নানুপুর ওবায়দিয়ায় এতেকাফকারীদের রাতদিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ওমর ফারুক আজাদ : পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম এতেকাফ। রমজানের শেষ দশদিন এতেকাফের অসংখ্য ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে।

শেষ দশদিন এতেকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য হাজার রজনী থেকে শ্রেষ্ট পবিত্র লাইলাতুল কদর এর সন্ধ্যান।

রাসুল সা. শেষ দশদিনের যে কোনো বেজোড় রাতে কদর রজনী খুঁজতে বলেছেন। তাই আল্লাহপ্রেমী মুমিনরা বিশ রমজানের দিন ইফতারির আগে মসজিদে ওঠেন এতেকাফ পালনের উদ্দেশ্যে।

সবচেয়ে ফজিলতপুর্ণ এতেকাফ হচ্ছে বায়তুল্লাহ শরিফে তারপর মসজিদে নববীতে। যারা এই দুই পবিত্র হারামাইনে এতেকাফের সৌভাগ্য লাভ করতে পারেন না তারা ছুটে যান আল্লাহ ওয়ালাদের সান্নিধ্যে।

বাংলাদেশে এরকম অনেক বড় বড় এতেকাফের মজমা হয়ে থাকে। চট্টগ্রামের নানুপুর জামিয়া ওবায়দিয়া মাদরাসা মসজিদের এতেকাফ উল্লেখযোগ্য। এখানে প্রতিবছর হাজারো মুসল্লি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন। জামিয়া ওবায়দিয়ায় এ ধারা চালু করেছিলেন পটিয়ার মুফতি আজিজুল হক রহ. এর খলিফা সুলতানুল আরেফিন মাওলানা সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. এরপর মাওলানা জমির উদ্দীন নানুপুরী রহ.। তার মৃত্যুর পর এটি পরিচালনা করছেন বর্তমান পীর মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী।

এতে দেশের প্রায় জেলা থেকে নানুপুরী পীর সাহেবের ভক্ত আশেকানসহ অনেক আলেম ওলামা অংশগ্রহন করে থাকেন। বিগত বছরের রেকর্ড ভেঙে এবছর এতেকাফকারীদের সংখ্যা সতেরশ ছাড়িয়ে গেছে।

নানুপুরী পীর মাওলানা সালাহ উদ্দীন  ইসলাহি বয়ানের পাশাপাশি দৈনন্দিন কর্মসূচি ও আমল ঠিক করে দিয়েছেন। দৈনকন্দিন আমলের মধ্যে রয়েছে ইসলাহি বয়ান, জিকির, ক্বিরাত অনুশীলন, সুন্নত ও বুনিয়াদি ইসলামি শিক্ষা ইত্যাদি।

রুটিন অনুযায়ি এতেকাফকারীগণ রাত ২টায় উঠে তাহাজ্জুদ আদায় করেন অতপর সাহরি খেয়ে জামিয়ার জামে মসজিদে হালকায়ে জিকিরে অংশগ্রহণ করেন। এতে হালকা ও জিকির পরিচালনা করে থাকেন জামিয়ার সিনিয়র শিক্ষক ও পীর সাহেবের খলিফা মুফতি শওকত বিন হানিফ ।

সকাল ৮টায় ঘুম থেকে উঠে ইশরাকের সালাত, সুরা ইয়াসিনসহ তিন পারা কুরআন মাজিদ তিলাওয়াত করার পর সাড়ে ১১টায় সুন্নতের বিশেষ বয়ান হয়। ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলে ক্বিরাত মশক ও মাসনুন দোয়া এবং বুনিয়াদি ইসলামি শিক্ষার অনুশীলন।

জোহরের পর ৩টা পর্যন্ত ইসলাহি বয়ান ও কুরআন তিলাওয়াত। আসরের পর আবারো ইসলাহি বয়ানের পর মুনাজাত ও ইফতারির প্রস্তুতি।মাগরিবের পর আওয়াবিন এর সালাত।

ইসলাহি বয়ানগুলো করে থাকেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত এতেকাফকারী আলেম ওলামাগণ।

এছাড়াও নানুপুরী পীর সাহেব মাওলানা সালাহ উদ্দীন সুন্নত ও মারেফতের উপর ভক্ত-আশেকান এবং আলেম ওলামাদের উদ্দেশে বয়ান দিয়ে থাকেন।

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ