আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এক তরুণীকে জোর করে প্রাইভেটকারে ধর্ষণচেষ্টার সময় এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। সেই দৃশ্য ভিডিও করে ছাড়া হয়েছে ফেসবুকে। ইতোমধ্যেই সেটি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, ধর্ষকের নাম রনি হক। বেসরকারি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক ছাত্র। সে বিবাহিত এবং দুইজন সন্তানও রয়েছে।
রনি হকের গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো- গ ২৯৫৪১৪। জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়েছে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে তার গাড়িচালক পালিয়ে গেছেন।
শনিবার রাতে কলেজগেট সিগন্যালে এ ঘটনা ঘটে। রনির জিমের ব্যবসা রয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা জনসাধারণ রনিকে আটক করার সময় রাফি নামের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন।
ফেসবুকে রাফি আহমেদ লেখেন, ‘আজ অফিস থেকে ফেরার পথে মোহাম্মদপুর, কলেজগেট সিগন্যালে ঠিক আমার সামনের গাড়িটাতে লক্ষ্য করে দেখি ভেতরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ধস্তাধস্তি করছে এবং গাড়ির ড্রাইভারের গাড়ি চালানোর ভঙ্গিমা দেখে মনে হচ্ছিল, সে গাড়িটা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে দুর্ভাগ্য তাদের, রাস্তায় তীব্র জ্যাম থাকায় গাড়িটি বেশি দূর যেতে পারেনি। এমতাবস্তায় আমি আমার গাড়ি থেকে নেমে সামনে যেতে যেতে দেখি আরও কিছু লোক গাড়িটির দিকে লক্ষ্য করে এগোচ্ছে। তখনো ভাবতে পারিনি এতটা নিচ ও নিকৃষ্ট ঘটনার চাক্ষুস প্রমাণ হতে যাচ্ছি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি গাড়িটির কাছে যেতেই দেখি ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে। গাড়ির দরজা খুলে প্রথমে আমরা মেয়েটিকে বাইরে বের করে নিয়ে আসি, পরে অপর পাশের দরজা খুলতেই দেখি অতিপরিচিত সেই ছেলেটি অর্থাৎ বড়লোক বাবার বখে যাওয়া নষ্ট সন্তান। ছেলেটিকে বাইরে বের করতে গিয়ে সহ্য করতে হয়েছে বাজে মদের গন্ধ। আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না।
আওয়ার ইসলাম ঈদসংখ্য অনলাইনে অর্ডার করতে ক্লিক করুন
অতঃপর বসিয়ে দিলাম ওই জানোয়ারের কানের নিচে আমার বাম হাতের পাঁচ আঙুলের চিহ্ন। এরপর ক্ষুব্ধ জনতা চিলের মতো করে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের বাকি দায়িত্ব পালন করল। পরে মেয়েটির কাছ থেকে জানতে পারলাম— ওই নরপিশাচটা মেয়েটিকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে এসেছে।’
তেজগাঁও জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে রনি হক নামের যুবককে আট করা হয়েছে। শিগগির তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
https://www.youtube.com/watch?time_continue=238&v=RDfdyZLYt4M