আবদুল্লাহ তামিম: ভারতের উত্তর প্রদেশের ভগপত জেলায় দেশটির পুরাতত্ত্ববিদেরা খৃষ্টপূর্ব ২০০০ বছর পূর্বের প্রত্নতত্বের নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন। রাষ্ট্রীয় প্রত্নতত্ব সংস্থা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) খননে এই সমস্ত প্রাচীন নিদর্শন আবিষ্কার করা হয়েছে।
সংস্থাটির পুরাতত্ত্ব গবেষকদের দাবী, এর ফলে প্রমাণিত হলো মেসোপটেমিয়া সভ্যতার বিকাশের সময় ভারতেও একই ধরণের ব্রোঞ্চ যুগের সভ্যতার অস্তিত্ব ছিলো।
এই খননে তারা বেশ কিছু পুরোনো অশ্বচালিত রথ, সমাধি এবং অন্যান্য প্রাচীন নিদর্শন আবিষ্কার করার দাবী করেছেন। পুরাতত্ত্ব বিভাগের দাবী, এই নিদর্শনগুলির বয়স প্রায় ৪০০০ বছর।
এছাড়াও চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া এই প্রত্নতাত্বিক খননে তারা ঐ সময়ে ব্যবহৃত তিনটি শবাধার, বেশ কিছু তলোয়ার, ছুরি, চিরুনি এবং অলংকার আবিষ্কার করেছেন।
পুরাতত্ত্ব বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ডক্টর মঞ্জুল বলেন, “এই অঞ্চলে এত প্রাচীন আমলের নিদর্শন পেয়ে আমরা বিস্মিত বোধ করছি।
খননের সময় আমরা অনেক প্রাচীন রাজকীয় সমাধিও আবিষ্কার করেছি। এসময় আমরা একটি সমাধিক্ষেত্রে কিছু প্রাচীন যুদ্ধরথও আবিষ্কার করি।”
তবে তিনি আরো জানান, এই ঘোড়ায় টানা রথগুলি দেখতে অনেকটা ভারতীয় টেলিভিশনে দেখানো মহাভারতের যুগের যুদ্ধ রথের মতো!
এই খননে পাওয়া অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে রাজকীয় শবাধারদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এমন একটি শবাধার আবিষ্কার করেছি যা নিঃসন্দেহে কোন মহান রাজার।
শবাধারটি কারুকার্যখচিত তামার ভারী আচ্ছাদনে আবৃত ছিলো। এর নকশায় মানুষের মতোই দেখতে জীবজন্তুর বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বেশকিছু দেবদেবীর প্রতিমূর্তি অঙ্কিত ছিলো।
এসময় তিনি আরো বলেন, এর আগে মহেঞ্জোদারো এবং হরপ্পা সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এমন বিস্ময়কর তা¤্রযুগের কোন নিদর্শন পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক এই আবিষ্কারের ফলে হরপ্পার বাসিন্দারা যে তাদের সভ্যতা ছেড়ে যমুনা অঞ্চলে পাড়ি দিয়েছিলেন সেই তত্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
আরো পড়ুন-রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সরকারের বৈঠক