মুহিব্বুল্লাহ মামুন: কাতারের বিরোধীদলীয় নেতা শায়খ সুলতান বিন সাহিম কাতারের জনগণকে হজ ও ওমরা পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কাতার সরকারের সমালোচনা করেছেন।
শুক্রবার এক বয়ানে শায়খ সুলতান বলেন, দোহা সরকার কাতারের জনগণকে হজ ও ওমরা পালনে বাধা প্রদান করে বড় পাপ করেছে। খবর আল আরাবিয়ার।
শায়খ সুলতান বিন সাহিম বলেন, যদিও সৌদি সরকার রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছে, তবে তারা আমাদের দেশের মানুষদের পবিত্র ওমরা পালনের পথ করে দিয়েছে।
কিন্তু নতুন করে অভিযোগ উঠেছে, কাতার সরকার নাগরিকদের ওমরা পালনে বাধা প্রদান করে আসছে। এ কারণে তিনি দোহাকে দায়ী করেন এবং সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, অবশ্যই এমন একদিন আসবে, যেদিন কাতারের মানুষ তোমাদের এ পদক্ষেপ ওহজ-ওমরা আদায়ে প্রতিরোধের হিসাব নেবে। কতই না বড় গোনাহ- যা তোমরা তোমাদের কাঁধে বহন করছো! অথচ তোমরা আল্লাহকে ভয় করছো না এবং নিজের স্বার্থ ব্যতীত অন্য কোনো চিন্তাও করছো না।
পাকিস্তানের সৌদি দূতাবাস বলছে, গত বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে কাতার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে কাতারি নাগরিকদের ওমরা পালনে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে শুধুমাত্র সৌদি সরকারকে দোষী করা হতাশাজনক।
উল্লখ্যে, গত বছরের জুন থেকে কাতারের ওপর সব ধরনের অবরোধের পর সেখানে সরাসরি বিমান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। হজযাত্রীরা সরাসরি বিমানে করে হজ করতে আসতে পারত না। এটাই প্রথম ঘটনা এক বছরের মধ্যে দুদেশের সর্ম্পক অবনতির পর কাতারের ওমরাহ পালনকারীদরে জন্য সৌদিতে আসার অনুমতি দিয়েছে।
তবে সৌদি হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, কাতার সরকার সে দেশের নাগরিকদের ওমরা পালন করতে বাধা সৃষ্টি করছে।
আল আরাবিয়া থেকে মুহিব্বুল্লাহ মামুনের অনুবাদ
নাগরিকদের ওমরা পালনে বাধা দিচ্ছে কাতার: সৌদি
-আরআর