আওয়ার ইসলাম
রোজা অবস্থায় বিমানে পশ্চিম দিক সফর করার কারণে দিন বড় হয়ে যায়, তাহলেও (বিমানে বা জমিনে যেখানেই হোক তার অবস্থান স্থলে) যখন সূর্যাস্ত হবে তখনই তার ইফতারের সময় হবে। এর আগে ইফতার করা বৈধ হবে না।
অবশ্য দিন বেশি বড় হয়ে যাওয়ার কারণে রোজা রাখা যদি অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে যায়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি আছে। তবে পরবর্তী সময়ে রোজাটি কাযা করে নিতে হবে।
যেসব দেশে দিন ১৬/১৭ ঘণ্টা অথবা তার চেয়েও দীর্ঘ, সেসব দেশেও সূর্যাস্ত পর্যন্তই রোজার সময়। সূর্যাস্তর আগে ইফতার করা জায়েয হবে না। হ্যাঁ, দীর্ঘ সময় রোজা রাখার কারণে যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে বা খুব বেশি কষ্ট হয়ে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে ফেলা জায়েয। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে এ রোজার কাযা করে নিতে হবে।
ফিকহুন নাওয়াযিল ২/১৫২।
রোজা অবস্থায় কানের ভেতর তেল,ড্রপ বা অন্য কোনো ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। এর দ্বারা রোজা ভাঙবে না । তেমনি কানের ভেতর পানি চলে গেলেও রোজা ভাঙবে না।
মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিক্হিল ইসলামী, দশম সংখ্যা ২/৪৪৪.৩৬৫, আলমাওসূআতুত তিব্বিয়া আলফিক্হিয়া ৬২৪।
নাকে ড্রপ, স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহারের পর তা যদি গলার ভেতরে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। অবশ্য গলায় না গেলে বা গলায় স্বাদ অনুভূত না হলে রোজা ভেঙে যাবে না ।
মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিক্হিল ইসলামী, দশ্ম সংখ্যা ২/৪৫৪., আলমাওসূআতুত তিব্বিয়া আলফিক্হিয়া ৬২৪
অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙবে না ।
ফিকহুন নাওয়াযিল ২/৩০০
মাথার কোনো ক্ষতে ওষুধ লাগানোর ফলে তা মস্তিস্কের চলে গেলেও রোজা ভাঙবে না। মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিক্হিল ইসলামী, দশম সংখ্যা ২/৩৬৫,৪৫৪., যাবিতুল মুফাত্ তিরাত ৫৭
পুরুষ বা মহিলার পেশাবের রাস্তায় কোনো ধরনের ওষুধ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কোনো যন্ত্র প্রবেশ করালে রোজা ভাঙবে না। তেমনি এখানে কোনো ওষুধ দিলেও রোজার ক্ষতি হবে না।
মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিক্হিল ইসলামী, দশম সংখ্যা ২/৩৬৫,৪৫৪., যাবিতুল মুফাত্ তিরাত ১৭৬।
মলদ্বার দিয়ে কোনো ওষুধ ভেতরে প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে।
মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিক্হিল ইসলামী, দশম সংখ্যা ২/৩৬৫,আলমাওসূআতুত তিব্বিয়া ৬২৪, যাবিতুল মুফাত্ তিরাত ১৭৪
রোজা অবস্থায় রক্ত দেওয়া-নেওয়া দুটোই জায়েয। এর কারণে রোজা ভাঙবে না । তাই রোজা অবস্থায় ডায়ালাইসিস করা যাবে।এর দ্বারা রোজা ভাঙবে না।
ফিকহুন নাওয়াযিল ২/৩০০।
এইচজে
আরো পড়ুন ট্যাবলেট খেয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ করে রোজা রাখা যাবে?