আওয়ার ইসলাম: খুলনা মহানগর ও জেলায় মাদকের গডফাদার, চোরাকারবারি, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সহযোগী ২৭২ নারী-পুরুষের তালিকা করেছে একটি সরকারি সংস্থা।
তালিকায় ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা পর্যায়ের এক নেতাসহ ১২ রাজনৈতিক পদধারীর নাম রয়েছে।
মাদক সিন্ডিকেট সদস্যদের আইনের আওতায় না এনে উল্টো তাদের কাছে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পুলিশের দুই ওসিসহ ২২ সদস্যদের বিরুদ্ধে।
মাদক সিন্ডিকেটে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি চালকের বিরুদ্ধেও।
তালিকায় মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারি হিসেবে খুলনা মহানগরে ১৫৪ এবং জেলার ৯ উপজেলার ১১৮ জনের নাম রয়েছে।
তাদের মধ্যে তেরখাদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান, এফএম মহিদুজ্জামান, ওয়াহিদুল ইসলাম ফকির, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সাধারণ সম্পাদক ও রূপসা বিএনপি নেতা রিপন বিশ্বাস, তেরখাদা শেখপুরার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা বাবু শেখ, তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িচালক আলামিন, ঘাটভোগ ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও অনেকের নাম রয়েছে।
গোপন তালিকায় ফুলতলা থানার ওসি আসাদুজ্জামান, দিঘলিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান, খুলনা সদর থানার এসআই শাহ আলম, সুব্রত কুমার বাড়ৈ, আশরাফুল আলম, টিপু সুলতান, মিলন কুমার, সোনাডাঙ্গা থানার এসআই সোবহান, এএসআই এমদাদুল হক, নুরুজ্জামান, লবণচড়া থানার এসআই বাবুল ইসলাম, এএসআই আবদুল্লাহ আল মামুন, মনজিল রহমান, লবণচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ওসমান গণি, হরিণটানা থানার এএসআই মোহাম্মদ রিপন মোল্লা, খানজাহান আলী থানার এসআই রাজ্জাক, ইলিয়াস, সুমঙ্গল, রূপসা থানার এএসআই রবিউল ইসলাম, রূপসা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাহিদ, কয়রা থানার এসআই ইকবালসহ ২২ জনের নাম উঠে এসেছে।
তারা মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অর্থ গ্রহণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. দিদার আহম্মদ আমাদের সময়কে বলেন, মাদক নির্মূলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে যে তালিকা দিয়েছে, তাতে পুলিশের নাম নেই। আমরা মন্ত্রণালয়ের তালিকা ধরে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন- রমজানে রোগীদের রোজা