সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ইফতারে উপকারী ফল পেয়ারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হয়েছে; গরম কিন্তু যায়নি। অন্যদিকে দিনের দৈর্ঘ্য এখনো বাড়ার দিকেই। এমন দিনে ইফতারে চাই পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইফতারে ভাজাপোড়া না খাওয়াই ভালো। বরং বুদ্ধিমানের কাজ হবে যদি ফলমূলে মনোযোগী হওয়া যায়।

তাই রমজান মাসজুড়ে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন ফলের পুষ্টিগুণ। আজ থাকছে উপকারী ফল পেয়ারা

বিশুদ্ধতা
ইউরোপে একটি কথা প্রচলিত। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে নাকি ডাক্তার দূরে থাকে। এ রকম কথা আমাদের এখানেও বলা যায়। কেবল আপেলের জায়গায় পেয়ারা বসিয়ে দিলেই হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফল উৎপাদনে অন্যান্য ফলের মতো কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। কাজেই একেবারে বিষমুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিস
এই ফল ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য দারুণ উপকারী। এর উচ্চমাত্রার ভক্ষণযোগ্য ফাইবার দেহে চিনি শোষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ইনসুলিন উৎপাদনে উত্থান-পতনে হঠাৎ করেই গ্লুকোজের মাত্রা ব্যাপকভাবে ওঠানামা করে। পেয়ারা খেলে এ সমস্যায় পড়তে হয় না ডায়াবেটিক রোগীদের।

চোখের যত্নে
দৃষ্টিশক্তির দেখভালের ক্ষেত্রে পেয়ারা খুবই ‘নির্ভরযোগ্য’। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’। ফলটি চোখের জ্যোতি যেমন বাড়ায়, তেমনি ছানি পড়ার ঝুঁকিও কমিয়ে আনে অনেকটা। যাদের দৃষ্টিশক্তি কমে এসেছে তারাও পেয়ারা খেয়ে আগের মতো চোখের জ্যোতি ফিরে পেতে পারে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
এটি খুব সহজেই মিলবে পেয়ারায়। একটি পেয়ারায় যে পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ থাকে, তা একটি কমলার চেয়ে চার গুণ বেশি। অথচ কমলাকে বলা হয় ভিটামিন ‘সি’-এর পাওয়ারহাউস। এই ভিটামিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের অন্যতম উপাদান। দেহে ভেসে বেড়ানো বিষাক্ত উপাদানগুলোকে বের করে দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের বিকল্প নেই।

ওজন
স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ মাত্রই ওজন সামলাতে তৎপর। যাঁরা প্রোটিন, ভিটামিন আর ফাইবার বাদ না দিয়েই ওজন কমাতে চান, তাঁদের অবলম্বন হতে পারে পেয়ারা। এর সবই রয়েছে এই ফলে। আরো আছে খনিজ ও হজমযোগ্য সামান্য কার্বোহাইড্রেট।

ক্ষুধা নিবারণে দক্ষ এই ফল। কাঁচা পেয়ারা অনায়াসে চিবিয়ে খেয়ে ফেলা যায় এবং এতে কোনো সমস্যাই হয় না। ভাত যেমন ক্ষুধা মেটায়, তেমনি দুপুরে একটি বা দুটি পেয়ারা খেলেই পাকস্থলী পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

স্কার্ভি

যাদের এই রোগ হয়, তাদের জন্য ভিটামিন ‘সি’ অতি জরুরি। কিংবা এ রোগ থেকে দূরে থাকতেও দরকার ভিটামিন ‘সি’। এই ভিটামিনের অভাব পূরণের হাতিয়ার হিসেবে অন্যান্য ফলের চেয়েও কার্যকর হলো পেয়ারা।

ডায়রিয়া
এই ফল ডায়রিয়া এবং ডিসেন্ট্রিতে আক্রান্ত হলে পথ্যের কাজ করবে। পেয়ারা পেটে সতেজ ভাব আনে এবং পাতলা পায়খানার ভাব দূর করে। পেছনের কারণ হিসেবে বলতে হয় এর অ্যাস্ট্রিজেন্টসমৃদ্ধ বৈশিষ্ট্যের কথা।

অ্যাস্ট্রিজেন্ট আচরণে ক্ষারের মতো। এতে রয়েছে সংক্রমণ প্রতিরোধী এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এগুলো অন্ত্র থেকে বাড়তি ও ক্ষতিকর ছত্রাক ও জীবাণু বিদায় করে।

মস্তিষ্ক

এই ফল মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অনন্য। এতে আছে ভিটামিস ‘বি-৩’ এবং ‘বি-৬’। প্রথমটি নিয়াসিন নামেও পরিচিত, যা মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। আর স্নায়বিক কর্মকা-কে ত্বরান্বিত করতে পটু ভিটামিন ‘বি-৬’।

মনোযোগ বাড়াতেও ভূমিকা রাখে এই ফল। এ ছাড়া ত্বকের যতœ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সামাল দেওয়া, রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়ানোসহ নানা উপকার মিলবে পেয়ারায়।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ