মুহিব খান
কবি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
রমজান কেন্দ্রিক ইসলামি টিভি প্রোগ্রামের হিড়িক পড়ে। চ্যানেলগুলো সময় বিক্রি করে লাভবান হয়। বিভিন্ন স্পন্সর কোম্পানিগুলো খেলার সময় খেলায়, বদদ্বীনীর বেলায় বদদ্বীনীতে আর ধর্মীয় দিবস-মাস-উপলক্ষে ধর্মীয় প্রোগ্রামে বিজ্ঞাপন প্রচার করে লাভবান হয়, ধর্মকে পূঁজি করে স্বার্থ হাসিলই আসল কথা।
আর প্রোগ্রাম! একশোটার মধ্যে ১০টি মানসম্পন্ন হলে ৯০টিই হয় একেবারে সস্তা মানের।
মাসব্যাপী এতো এতো প্রোগ্রামে প্রতিদিন আলোচক বিচারক কারী শিল্পী মৌলানা জোগার করাও কঠিন। প্রযোজকগণ দামী কমদামী যোগ্য অযোগ্য সবাইকে দেদারসে দাওয়াত করে নিয়ে চেয়ার ভরেন।
এদের অনেকে হাজার পাওয়ারের আলোয় চেয়ারে বসেও উজ্জ্বল হতে পারেন না, আবার কারো বসায় চেয়ারটাই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
আবার অনেক প্রোগ্রামে নামকরা মেহমান বা আলোচকদের নামমাত্র চেহারাটা দেখিয়ে বক্তব্য কেটেকুটে খণ্ডিত ও বিকৃতরূপে প্রচার করে দর্শকদের কাছে অসম্মান করা হয়।
অনেক প্রোগ্রামে অতিথিদের মূল্যবান সময় ও কাজের বিনিময়ে আসা-যাওয়ার ভাড়াটুকুও দেয়া হয় না, একগাল হাসি দিয়ে বিদায় করে দেয়া হয়। অথচ স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কিন্তু প্রতি পর্বের অতিথির সম্মানী বাবদ ভালো বাজেট নেয়া হয়।
আবার অনেক প্রোগ্রামে জুনিয়র ও নবীন আর্টিস্টদের কাছ থেকে টিভিতে মুখ দেখানোর বিনিময়ে উল্টো টাকা পয়সা নেয়া হয়। এই হলো রমজানের অধিকাংশ অনুষ্ঠানের হাল হাকিকত। আল্লাহ ছাড়া গতি নাই।
মুহিব খানের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে
-আরআর