শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫ ।। ২০ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৯ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফরিদপুরে বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায় যে ফলগুলো খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই 

১৯৮০ সাল থেকে গরিবদের সাহরি খাওয়ান মুহাম্মদ হাসান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রমজান মুসলিমদের জন্য ইবাদতের বসন্ত। এ মাসে অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি প্রচুর দান খয়রাত করেন তারা। গরিব এতিমদের মুখে হাসি ফোটে এই রমজানে।

রমজানে প্রবাসী ব্যবসায়ী মুহাম্মদ হাসান ওয়ারেস তেমনই একজন ব্যক্তি। যিনি গরিব এতিমদের মুখে হাসি ফোটাতে সেই ১৯৮০ সাল থেকে ছিন্নমূল, অভাবী রোজাদারদের ফ্রি সাহরি খাওয়াচ্ছেন।

যারা কেবল হয়তো ডাল কিংবা একটা ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়ে ইফতার করতো তাদের খাওয়াচ্ছেন মাছ, গোশত ও উন্নত মানের সবজি।

শনিবার (২৬ মে) সাহরির সময় দেখা গেল গরুর গোশত রান্না হয়েছে। শুধু কি সাহরি। এসব অতিথির জন্য ইফতারের আয়োজনও থাকে এখানে। ২৭ রমজান দেওয়া হয় ঈদ উপহার হিসেবে নারীদের শাড়ি আর পুরুষদের লুঙ্গি-শার্ট।

মুহাম্মদ হাসান ওয়ারেস থাকেন কুয়েতে। সেখান থেকে গত ১৩ মে শুধু গরিবদের সাহরি-ইফতার তদারকির জন্য বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন। বার্ধ্যকের কারণে শরীরে অসুখ বাসা বেঁধেছে তার। তবুও নিজে হেঁটে হেঁটে দেখেন তৃপ্তি ভরে সাহরি খাচ্ছেন শত শত মানুষ।

তিনি বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এ কাজটি করছি। আশা করি, আমার দেখাদেখি সমাজের বিত্তবানরাও এগিয়ে আসবেন।

স্বামীর এমন দয়ালু মানসিকাতার পাশে আছেন স্ত্রী সৈয়দা শাহিনূর বেগমও। তিনি বলেন, ছোটবেলায় আমার স্বামী অনেক কষ্ট করেছেন। ৫৩ বছর ধরে কুয়েতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইলেকট্রনিকসের ব্যবসা করেন। সেখানে আমরা অনেক আয়েশের মধ্যে রমজান কাটাতে পারতাম। কিন্তু গরিবদের সাহরি-ইফতার তদারকির জন্য দেশে ছুটে এসেছি। এদের ভালোবাসাই আমাদের বড় পাওনা। এদের খুশিতেই আমরা খুশি।

মুহাম্মদ ওয়ারেসের তিন ছেলে, পাঁচ মেয়ে। এক মেয়ে দেশে থাকেন। বাকি সবাই প্রবাসে। রমজানে সবাই সেহরি ইফতারে সহযোগিতা করেন।

জানা যায়, প্রতিদিন ১২ জন খাদেম সাহরি-ইফতারে কাজ করেন। প্রতিবছরই বাড়ছে সেহেরির অতিথি। রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পাঁচ শতাধিক মানুষের আয়োজন করতে হয়। সবাই তৃপ্তি ভরে খায়। দোয়া করে। খুব ভালো লাগে এ কাজ করতে।

রমজানে কেমন আছে রোহিঙ্গারা?

-আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ