শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


একটি আতঙ্কের নাম আই বি এস: চিকিৎসা ও পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ডা. এস এম আব্দুল আজিজ: কথায় বলে পেট ঠিকতো দুনিয়া ঠিক, যার পেট আছে তার সমস্যাও আছে, যার পেটে সমস্যা তার শরীরে সমস্যা লেগেই থাকবে। চোখের সামনে সুন্দর সুন্দর সুস্বাদু খাবার থাকলেও পেটের সমস্যার কারণে জিহ্বা সামলে নিতে হয়।

আর মনের ভেতরে আফসোস চাপা রেখে না খেয়ে হাত ধুয়ে উঠে যেতে হয়ে দস্তরখান থেকে। পেটের সমস্যাগ্রস্থ রোগীর ভোগান্থির শেষ নেই। পেটের রোগের মধ্যে আই.বি.এস অনেকের নিকট একটি আতংকের নাম।

আই.বি.এস (ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম)-এর রুগীরা দীর্ঘ মেয়াদী পেটের সমস্যা, অর্থাৎ বদহজম, আমাশা চির জীবনের সঙ্গী হয়ে যায়। পেটে হঠাৎ করে কামড় দেবে এবং সঙ্গে সঙ্গে বাথ রুমে যেতে হবে।

এমনও ব্যক্তি আছে যারা দিনে চার-পাঁচ বার বাথরুমে যাওয়া লাগে। ভোরবেলা একবার, ঘুম থেকে ওঠার পর একবার, সকালে নাস্তা খাওয়ার পর একবার, বিকেলে ও রাতে একবার করে, অনেক সময় খাবার খাওয়ার পরপরই বাথরুমে যেতে হয়। সারা দিন পেট ডাকে ও পেটের মধ্যে ভুটভাট করে। পেটের অশান্তি বড়ই অশান্তি।

ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আ.বি.এস): এই রোগ নির্ণয়ের জন্য সাধারণত কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। রুগী যে সমস্যা বা রোগের বর্ণনা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাতেই রোগ নির্ণয় হয়ে যায়। রোগীর মুখের কথায় যাবতীয় লক্ষণ পাওয়া যায়। হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি লক্ষণ ভিওিক সাদৃশ্য বিধান।

আইবিএসের উপসর্গ: বদ হজম, পেটের মধ্যে ভুটভাট শব্দ করে, পেটের মধ্যে কোক কোক করে ডাকা বা আহারের পর পেটের অশান্তি বৃদ্ধি, পায়খানার সঙ্গে বিজল যায়, পেটে কামড় দিয়ে ব্যাথা করে, বাথরুম করার পরও মনে হয় যেন এখনো ভেতরে কি আটকে আছে। বাথরুম করার পর কিছু সময়ের জন্য আরাম অনুভব হবে।

মাঝে মধ্যে বাথরুম নরম হবে, আবার কিছু দিন কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। বিষণ্নতা ও উদ্বিগ্নতাকে এই রোগের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আই.বি.এসের রুগীরা অনেকে নিজেদের সমস্যা নিজেরা চিহ্নত করতে পারে। কোন খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে এবং পেটের সমস্যা কমে তা রুগীরা অনুভব করতে পারে।

এ রুগীর জন্য যা যা রয়েছে নিষেধ : আমরা আইবিএসের রোগীদের চর্বি যুক্ত খাবার, তৈলাক্ত খাবার, আশযুক্ত খাবার, যব, গম, গমের তৈরি খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। শাকসবজি, ফল, সালাদ ইত্যাদিও নিষেধ। হোটেলের খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার বন্ধ, তবে ছানা খাওয়া যাবে। অতিরিক্ত মসলা যুক্ত খাবার ও গুরুপাক বর্জন করতে হবে।

এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য পরামর্শ : নরম ভাত, হালকা ঝোলের তরকারি, কাঁচা-পাঁকা পেঁপে, কাঁচা-পাকা বেল খাবেন। এছাড়া খেতে হবে গরম-গরম-টাটকা খাবার। বাসি পঁচা খাবার খাওয়া যাবে না।

ইরেটেবল বাওয়েল সিমন্ড্রোম (আইবিএস)-এর এ রোগের হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞান ভিওিক মেডিকেল শাস্ত্রে অনেক মেডিসিন আবিষ্কার হয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ব্যতিত আইবিএস রোগের চিকিৎসায় সুফল পাওয়া অনেক কঠিন।তাই অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়াই নিরাপদ।

লেখক: সেক্রেটারী, আইডিয়াল ডক্টর্স ফোরাম অব হোমিওপ্যাথি।
চেম্বার: আল-আজিজ হেলথ সেন্টার, বাইতুল আবেদ, আজাদ প্রোডাক্টসের পার্শ্বে
৫৩ পুরানা পল্টন (২য় তলা, নং রুম ১০৩) ঢাকা-১০০০ ।
মুঠোফোন: ০১৭১০-২৯৮২৮৭


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ