আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের মতো বন্ধু দেশ আমাদের পাশে রয়েছে। এ বন্ধুত্ব দুই বাংলার সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।
আজ শুক্রবার শান্তিনিকতেন বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের একমাত্র শত্রু হচ্ছে দারিদ্র্য। এ অঞ্চলের দারিদ্র্য দূর করতে হবে।
শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ-প্রকৃতির অপরূপ মেলবন্ধন শান্তিনিকেতন। আমাদের হাসি-কান্নার সঙ্গে মিশে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি শুধু ভারতের নয়, বাংলাদেশেরও। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত তাঁরই লেখা।
অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় না দিয়ে পারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এতে প্রশংসিত হয়েছে গোটা বিশ্বে।
তিনি বলেন, আমরা চাই রোহিঙ্গারা দ্রুত তারা দেশে ফিরে যাক। এ জন্য ভারতকে মিয়ানমারের প্রতি চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক পুরোনো। ১৯৯৯ সালে বিশ্বভারতী আমাকে দেশিকোত্তম ডিগ্রি প্রদান করে। আমার ইচ্ছে ছিল এখানে বাংলাদেশ বিষয়ে চর্চার জন্য একটি আলাদা জায়গা থাকুক।
২০১০ সালে আমার ভারত সফরের সময় এই ভবনটি স্থাপনের ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত এটি আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন
-আরআর