আওয়ার ইসলাম: বহুল অালোচিত সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি এবার মাদক বিষয়ে দেশবাসীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে নিজে ও পরিবারের অন্য সদস্য জড়িত নয়।
বদি বলেছেন, দেশের যেকোন নাগরিক, সাংবাদিক বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য যদি তার (এমপি বদির) ইয়াবা ব্যবসা বা ব্যবসায়ীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা দেখাতে পারে তাহলে যেকোন ধরনের শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত আছেন।
বদি দাবি করেন তিনি জীবনেও ধূমপান ও মাদক গ্রহণ করেননি। তার শরীরে কোনো ধরনের অবৈধ আয়ের ছোঁয়া লাগে না বলেও দাবি করেন তিনি।
ইয়াবার কথা আসলেই বদির নাম কেন সবার আগে আসে? এই প্রশ্নের জবাবে বদি জানিয়েছেন, ২০০২ সালে টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর থেকেই তিনি চোরাচালান ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার। মাদক ব্যবসায়ীর সাথে কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও কিছু সাংবাদিক জড়িত হয়ে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেট কৌশলে তাকে মাদকসম্রাট বানিয়েছে।
বদি বলেন, গত একদশকে হাজার হাজার মানুষ ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়েছে। কিন্তু কোনো ব্যক্তি কোনো দিনও তার (বদির) নাম বলেনি। তিনি যদি ইয়াবা ব্যবসা করতেন তাহলে অবশ্যই আটক পাচারকারীরা তার নাম বলতো।
আওয়ামী লীগের এমপি বদি বলেন, ইয়াবা এখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। সাগর পথে ইয়াবা সরাসরি চট্টগ্রামে চলে যায়। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে ইয়াবার বড় বড় চালানও ধরা পড়েছে।
বদি জানান, চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ ধরা পড়া ইয়াবা পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ইয়াবার মালিক বা গডফাদারদের নাম বের করতে হবে।
ইয়াবা পাচারকারী তালিকায় বদির পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম কেন আসলো জানতে চাইলে বদি বলেন, প্রশাসন ও মিডিয়ার সমন্বয়ে গড়ে উঠা ইয়াবা সিন্ডিকেট নিজেদের আড়াল করতে তার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যদের ইয়াবা পাচারকারী বানাচ্ছে।
এইচজে