সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত ফেনী সদর উপজেলায় জামায়াতের রুকন সম্মেলন শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: ইন্ধনদাতাদের সতর্ক করলেন প্রেস সচিব আইফোনে লাইভ ফটো ভিডিওতে রূপান্তর করুন সহজেই

তারাবীর নামাজ শেষে নির্দিষ্ট কোন দোয়া আছে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম

অনেককে দেখা যায়, তারাবীর নামাজ শেষ হবার পর মুনাজাতে নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করে থাকেন।

اللهم انا نسئلك الجنة ونعوذبك من النار يا خالق الجنة والنار برحمتك يا عزيز يا غفار يا كريم يا ستار يا رحيم يا جبار يا خالق يا بار. اللهم اجرنا من النار يا مجير يا مجير يا مجير برحمتك يا ارحم الرحمين.

“আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়ানাঊজুবিকা মিনান নার, ইয়াখালিকাল জান্নাতা ওয়ান্নার, বিরাহমাতিকা ইয়া আজীজু ইয়া গাফ্ফার, ইয়া কারীমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহীমু ইয়া জাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্র, আল্লাহুম্মা আজীরনা মিনান নার, ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজীরু ইয়া মুজীর। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন”। দুআটি উদ্দেশ্য নিয়েছেন।

তারাবীর নামাজ শেষে উল্লেখিত দোয়াটির প্রচলন কমবেশি সব জায়গাতেই দেখা যায়। আদৌও কি উল্লেখিত দোয়াটির কোন আবশ্যকতা রয়েছে? ইসলাম এ ব্যাপারে কী বলে?

দলিলসহ এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার’র পরিচালক মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

তিনি বলেন, এটি কেবলই প্রচলিত একটি দুয়া। যেহেতু নামায শেষে দুআ করার বিধান রয়েছে। তাই হয়তো কেউ উপরোক্ত সুন্দর দুয়াটি আবিস্কার করেছেন। যার কিছু অংশই দুয়া হিসেবে হাদীসে এসেছে। বাকি পূর্ণ দুয়াটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। সুতরাং এটিকে আবশ্যক মনে করা বা সুন্নত মনে করার কোন সুযোগ নেই।

যেকোন দুয়া করা যায়। বাকি উপরোক্ত দুয়াটিও একটি দুয়া হিসেবে করা যেতে পারে। যেহেতু এর অর্থ অনেক সুন্দর। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যেন এটি কেউ সুন্নত বা জরুরী মনে করে না বসে। তাহলে এটি পড়া বিদয়াত হয়ে যাবে।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসল্লিই দীন সম্পর্কে অতটা জ্ঞানী নয়। তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা না করে, উপরোক্ত দুয়া সবসমসয় পড়ার ইলতিযাম করা যাবে না।

বরং কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত দুয়াগুলো করাই সবচে’ উত্তম। মাঝে মাঝে উপরোক্ত দুয়াও করা যেতে পারে। কিন্তু সবসময় উপরোক্ত দুয়া পড়লে মানুষের মনে এ ধারণা জন্মে যাবে যে, এ দুআ বুঝি তারাবী শেষের দুয়া।

তাই সবসময় উক্ত দুয়া পড়া ঠিক হবে না। কেউ যদি এ ব্যাপারে প্রশ্ন করে, তখন বিষয়টি খোলাসা করে বলে দিতে হবে।

উৎস : আহলে হক মিডিয়া

আরও পড়ুন : তারাবির নামাজ ২০ রাকা‘আত


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ