আওয়ার ইসলাম: মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দেশে কোনও ক্রসফায়ার হচ্ছে না। যা হচ্ছে বন্দুকযুদ্ধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের জীবন বাঁচাতে বন্দুকযুদ্ধে বাধ্য হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে কোনও ছাড় নয়, জিরো টলারেন্স নীতিতে পুলিশ সামনের দিকে এগুচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যাদেরকে ধরা হচ্ছে তারা মাদকের শীর্ষ ব্যবসায়ী। শতভাগ নিশ্চিত হয়ে এবং তথ্য-প্রমাণ হাতে নিয়ে নক করা হচ্ছে। যাদের নক করা হচ্ছে তারা কখনও কখনও পালিয়ে যাওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর গুলি ছোড়ে। তখন জীবন বাঁচাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ কারণে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
“এ যাবত দুই হাজারের বেশি মাদক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচার করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, র্যাব, সাংবাদিক যারাই মাদকের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাদের ছাড় নয়।”
মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ থাকার পরও কক্সবাজার ৪ টেকনাফ-উখিয়া আসনের এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না- এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের কাছে আছে।
আমরা সেই অভিযোগগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি। বদিসহ অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়ে আপনাদের কাছেও কোনও তথ্য থাকলে আমাদের দিন। বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তথ্য-প্রমাণ নাই।
উল্লেখ্য, এর আগে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, র্যা, পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মাদকপাচারকারীদের তালিকায় এমপি বদি সামনের সারিতে আছেন।
এইচজে