সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

যেখানে হিন্দুরাও নিয়মিত রোজা রাখেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বারাসতে হিন্দু-মুসলমানের অপূর্ব সৌহার্দ্য অনেকেরই জানা।

শহরের কাছেই ছোট একটি মসজিদ। হাতেগোনা কয়েকজন মুসলমান এখানে নামাজ আদায় করতে আসলেও এটি মূলত ‘বোস বাড়ির মসজিদ’ হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বোস পরিবার পালিয়ে আশ্রয় নেন ভারতে। যেখানে তারা আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই জমিতে জীর্ণ অবস্থা থেকে একটি মসজিদকে রক্ষা করেছেন এই হিন্দু পরিবারের সদস্যরা। সেই থেকে গত অর্ধশতক ধরে বোস পরিবারই মসজিদটি দেখাশোনা করছে। শুধু তাই নয়, পবিত্র রমজান মাসে নিয়মিত রোজাও থাকেন এই বোস পরিবার।

বর্তমানে পার্থ সারথি বোস মসজিদটির দেখাশোনা করছেন। মসজিদটির প্রতি তার এতো টান যে তার বন্ধুবান্ধব মজা করে তাকে ডেকে থাকেন মুহাম্মদ পার্থসারথি বসু নামে। কিন্তু এসব মজা গায়ে মাখেন না পার্থ।

তিনি রমজান মাসে সব মুসলমানদের সাথে একসাথে বসে ইফতার করেন। আর শুধু বোস পরিবারই নয়, এই মসজিদটির জন্য অন্যান্য হিন্দু পরিবারগুলোও নানারকম সহায়তায় এগিয়ে আসেন।

বারাসতে পশ্চিম ইছাপুরের নবপল্লীতে ২০ থেকে ২৫ বিঘা জমি জুড়ে বোস বাড়ি। বাড়ির প্রধান দীপক বসুর বয়স ৬৭ বছর। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় খুলনার এই বসু পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বারাসতে চলে আসেন।

আরো পড়ুন- মুসলমান হওয়ায় বাব-মার নির্মম নির্যাতন


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ