শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


বর্ষায় ঝুঁকিতে থাকা দেড় লাখ রোহিঙ্গাকে সরানো হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বর্ষা মৌসুমের ঝড়-বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল আর তুফানের কবল থেকে বাঁচাতে ১ লাখ ৩৩ হাজার রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে।

কুতুপালং শিবিরের পাশেই নিরাপদ জায়গায় তাদের সরিয়ে নিতে দুই মাসের মতো সময় লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। আর বর্ষা মৌসুমের পরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাষানচরে সরিয়ে নেয়া হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বর্ষা মৌসুমে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, পাহাড়ি ধস বা পাহাড়ি ঢলের আশংকা থেকে কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে থাকা রোহিঙ্গাদের সকলেই ঝুঁকির মধ্যে আছে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়ায় এবং টেকনাফে আশ্রয় নেয়ায় বন ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন। এর ফলে বর্ষা মৌসুমে সেখানে পাহাড় ধস বা পাহাড়ি ঢলের আশংকার  কথাও বলা হচ্ছে।

সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো একটি জরিপ চালিয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকা রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করেছে।

ত্রাণ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল বলছিলেন, ঝুঁকির মধ্যে থাকা রোহিঙ্গাদের শিবিরের কাছেই নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, ঝুঁকির মধ্যে থাকা এই রোহিঙ্গাদের আপাতত নেয়া হচ্ছে কুতুপালং শিবিরের পাশে নতুন ১২৩ একর জমিতে।

শনিবার এই মহড়ার উদ্বোধন করার পাশাপাশি মো. শাহ কামালসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা শিবিরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন।

কক্সবাজারে জাগ্রত নারী উন্নয়ন নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রোহিঙ্গা নারীদের নিয়ে কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিউলি শর্মা বলছিলেন, এবার এখনই অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।ফলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে বিলম্ব করা হয়েছে ।

এদিকে, কক্সবাজার প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সীমান্তে শূন্য রেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য মিয়ানমারর বাহিনী আবারও মাইকিং করেছে, এনিয়ে সেখানে রোহিঙ্গাদের মাঝে নতুন করে ভীতি তৈরি হয়েছে।

কোথায় আছেন মুহাম্মদ বিন সালমান?
এক মসজিদেই ৩৫ হাজার মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা!


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ