শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের যেকোনো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন অটল বাংলাদেশের  গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে করিমগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল  ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র সম্ভব নয়: পীর সাহেব চরমোনাই এবার নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইল জামায়াতে ইসলামীও ৩ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন কবি আল্লামা মুহিব খান মার্চ ফর গাজা" সফল করুন: খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ ৫০ আসন টার্গেট করে এগোচ্ছে জমিয়ত বেতুয়া হাশেমিয়া দারুস সুন্নাহ মাদরাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন `মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করুন: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

সৌদি আরবে ৯ নির্যাতিতা নারীকে দেশে ফিরতে বাধা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নিরাপদ জীবকার সন্ধানে সৌদি আরবে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৯ জন বাংলাদেশি নারী শ্রমিককে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা এখন দাম্মামের খোবার এলাকায় একটি ক্যাম্পের হেফাজতে রয়েছেন।

দেশে ফিরতে চাইলেও ওই দেশের গৃহকর্তা ও দালালরা তাদের বাধা দিচ্ছেন। এর আগেও এমন অভিযোগ উঠেছে, তবে তথ্য প্রমাণের অভাবে বিষয়টি ধোঁয়াশাই থেকে যায়। তবে সাংবাদিকমানবাধিকার কর্মী সোনিয়া দেওয়ান প্রিতির মাধ্যমে কিছু তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশ সৌদি আরবের কনস্যুলেট অফিসে পাঠিয়েছেন নির্যাতনের শিকার নারীরা। ফলে এবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই নারী শ্রমিকদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে। তাদের তিন থেকে চারদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে।’

সাংবাদিক ও হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড হেলথ ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিতি ও ভিকটিমদের পরিবারের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ঢাকার লালবাগের সুমাইয়া কাজল (২৬) সৌদি আরব যান গত ২৩ এপ্রিল। কয়েক দিনের মাথায় তার ঠাঁই হয়েছে দাম্মাম শহরের আল খোবারা এলাকার এক নম্বর ক্যাম্পে। গাইবান্ধা জেলার সাথী (২৪) সৌদি আরব গেছেন গত ২০ এপ্রিল।

বাসাবাড়িতে কাজ শুরু করার তিন দিন পর শরীরিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকেও ওই ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে গত আড়াই মাসে ৯ জন বাংলাদেশি নারী শ্রমিকের ঠাঁই হয়েছে সেখানে। সবার পরিবার থেকেই অভিযোগ, নির্যাতনের শিকার হয়ে বাসাবাড়ি থেকে ক্যাম্পে স্থান হয়েছে তাদের।

হাসপাতালে চিকিৎসার পর কেউ কেউ সুস্থ হলেও অনেকেই অসুস্থ রয়েছেন এখনও। তারা দেশে আসতে চাইলেও ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না।

সুমাইয়া কাজল ও সাথীর মতো বরিশাল জেলার ভোলার রিনা, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরের মাজেদা ও তার মেয়ে বিলকিস, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের নূরজাহান, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর পিংকি, নওগাঁর লতাসহ মোট ৯ নারী গত সাড়ে তিন মাসে মধ্যে সৌদি আরব পাড়ি দিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

পরে একপর্যায়ে তারা ক্যাম্পে স্থানান্তরিত হয়েছেন। সংসারের টানাপড়েন থেকে একটু সুখের মুখ দেখতে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে দালালের মাধ্যমে শ্রমিকের কাজ করার জন্য সৌদি আরব যান তারা।

সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সোনিয়া দেওয়ান প্রিতি জানান, ‘এই ঘটনার পর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর পিংকী তার বাসায় কৌশলে ফোন দিয়ে জানান, সৌদি আরবে এক বাসায় কাজ পাওয়ার পরদিন থেকেই তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছিল।’

‘শুধু তিনি নন, তার মতো আর ৯ জনই নির্যাতনের শিকার। সবাই অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার আগেই তাদের নেওয়া হয়েছে একটি ক্যাম্পে। বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তায় তাদের চিকিৎসা করা হয়েছে।’

প্রিতি আরও বলেন, ‘এই বিষয়টি জানার পর নিশ্চিত হতে আমি সৌদি আরবে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে যোগাযোগ করি। ভিকটিমদের বাড়ি থেকে তাদের মাধ্যমে সেখানকার ভিডিও, ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করি। সংগ্রহ করা ভিডিও, ছবি ও তথ্য কনস্যুলেট অফিসে পাঠালে ভিডিও দেখে সেখান থেকে নিশ্চিত করা হয় দাম্মামের খেরাবা এলাকায় রয়েছেন ওই নারীরা।

‘ভিকটিম পরিবারের অভিযোগ ও কনস্যুলেটের দেওয়া তথ্যে নির্যাতিত ওই সব নারী দাম্মামের খোরাবা এলাকার ক্যাম্পে হেফাজতে থাকার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।’

সোনিয়া দেওয়ান প্রিতি বলেন, ‘এই নারী শ্রমিকদের পাঠিয়েছে মনসুর আলী ওভারসিজ অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সি। তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনও জবাব পাইনি। বরং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের পর ভিকটিমদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে যায়। দালালরা ভিকটিম পরিবারের সদস্যদের নজরে রাখতে শুরু করে।’

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর লাগাম এবার নারীর হাতে
আজকের ইফতার ও সেহরির সময়


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ