আওয়ার ইসলাম: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ২৬৮ কেন্দ্রে বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে।
এতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬৪৬২০ ভোট। আর বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১০১২১৪ ভোট।
তবে কেন্দ্রগুলোর ভোট এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
এর আগে দুপুরে জালভোটের অভিযোগে চারটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়। বিএনপি প্রার্থী মঞ্জু অভিযোগ করেছেন প্রায় ৪০ টি কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি হয়েছে।
তবে অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে আলীগ প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক সুষ্টু ভোট হয়েছে বলে জানান।
সকাল ৮টা থেকে খুলনা মহানগরীর ভোট কেন্দ্রগুলোয় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষ করার পরপরই ভোট গণনা শুরু হয়।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাদের এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি মারধরও করা হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগ বলেছে, পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জেনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ‘মিথ্যা অভিযোগ’ করছে।
ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, চমৎকার ও সুন্দর এবং উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাতপাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।
৪৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ নগরীতে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯টি ও ভোটকক্ষ এক হাজার ৫৬১টি। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন, যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।
‘দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না’
-আরআর