শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


ইসরাইল কি ইরানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়াতে চায়?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ওমর ফাইয়ায: সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে ইসরাইলের হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

আন্তজার্তিক সম্প্রদায় সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন, সিরিয়ার যুদ্ধে একটি নতুন ফ্রন্ট খোলা গত বৃহস্পতিবারের হামলার উদ্দেশ্য ছিলো না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন ইরানের প্রতিক্রিয়ার ওপরই অনেক কিছু নির্ভর করছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করছে, তাদের যুদ্ধবিমান অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ইরানের রকেট হামলার জবাবে ইরানের গোয়েন্দা কার্যক্রম ও যুদ্ধযানের ওপর আক্রমণ করেছে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান বলেছেন, ইসরাইলি আক্রমণ ছিলো সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি অবকাঠামোর ওপর। তিনি যোগ করেন, ইসরাইল নতুন আক্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা এই অধ্যায়টি শেষ করে ফেলেছি, আশা করি সবাই এই বার্তা পেয়ে গেছেন।

অভিগদর লিবারম্যান অনেকটা হুমকির সুরেই বলেছেন, ইসরাইলের ওপর কোনো হামলা হলে তা ইরানের ওপরই গিয়ে পড়বে।

ইরান রকেট হামলার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

পরিস্থিতি এখনও পরিস্কার নয়। একটি স্বাধীন যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা দাবি করছে, গত মঙ্গলবার সিরিয়ায় ইসরাইলের বোমা হামলার পরই রকেট হামলাগুলো হয়।

গত মঙ্গলবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম দক্ষীণ দামেস্কের কিসওয়ে শহরে একটি সামরিক বাসে হামলার সংবাদ দেয় এবং এজন্য ইসরাইলকে দায়ী করে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সাথে পরমানু সবঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পরপরই কিসওয়ে শহরের ওই হামলাটি হয়। ওই হামলায় ১৫ জন নিহত হন যাদের আটজন ছিলেন ইরানি নাগরিক।

এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় পর দিন সিরিয়া থেকে ইসরাইলের অধিকৃত সিরিয়ান এলাকা গোলান মালভূমিতে ২০টি রকেট ছোঁড়া হয়।

আপনি বা কোনো আত্মীয় কি ইন্টারনেট ও মাদকাসক্তিতে ভুগছে?

ইসরাইলি সেনাবহিনী এই হামলার জন্য ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে দায়ী করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পর গত বৃহস্পতিবারের হামলাটি ইসরাইল করেছিলো প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য।

লন্ডনের রিজেন্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইয়োসি মেকলবার্গ বলেন, আমি মনে করি না ইসরাইল ইরানের সাথে কোনো দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ শুরু করতে আগ্রহী। কারণ সেই যুদ্ধ আরও অনেক দিকে ছড়িয়ে পড়বে। বিশেষত লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ ইসরাইলের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলবে।

তিনি বলেন, ইসরাইল বৃহস্পতিবারের হামলা করে একটি ঝুঁকি নিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো ইরানকে এই বার্তা দেয়া যে তাদের ওপর হামলা হলে তারা জবাব দেবে।

আল জাজিরা থেকে ওমর ফাইয়ায এর অনুবাদ

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ