আম্মার সাদিক: বৃদ্ধার শরীরে আগুন। প্রতিবেশীরা সে দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করছেন। যেন একটা মজার দৃশ্য পেয়ে গেছেন তারা। আর এদিকে বৃদ্ধা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছেন। এতো এতো মানুষ ছবি তুলছেন, একবারও মনে হলো না, বৃদ্ধাটিকে বাঁচানো দরকার।
এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে। কলকাতার উলুবেড়িয়ার খলিশানি রামনগরের একদল সেলফি রোগীদের সত্যিকারের ঘটনা এটি।
অবসাদে শরীরে আগুন লাগিয়ে ওই বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেছেন, স্থানীয় পুলিশ এমনটি মনে করলেও যারা বৃদ্ধাকে এভাবে পুড়তে দিল তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। যদিও কথিত তদন্ত শুরু করার কথা বলেছেন তারা।
এদিকে নিহতের পরিবার অভিযোগের সুরে বলছেন, ভোর ৫টা নাগাদ ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল ছাদে। প্রতিবেশীদের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছাদে উঠে দেখেন পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছেন মিনা পাঁজা (৬৫)। কিন্তু তাকে উদ্ধার না করে পাড়ার কয়েকজন যুবক মোবাইলে মিনাদেবীর পুড়ে যাওয়ার ছবি তুলে রেখেছিলেন।
বড় বৌমা পাপড়ি পাঁজা বলেন, ভোরে প্রথম ছাদে উঠে দেখি অনেকে ছবি তুলছেন। তারা শুধু ছবিই তুললেন। বৃদ্ধাটিকে বাঁচাবার জন্য কেউ এগিয়ে এলেন না। তারা তো এগিয়ে আসতে পারতেন। ছবি না তুলে তারা তো গিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারতেন।
পরিবারের দাবি, মাস ছয়েক আগে মৃত্যু হয়েছে মিনাদেবীর স্বামী কাশীনাথ পাঁজার। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মিনাদেবী। শারীরিক অসুস্থতাও ছিল। সে কারণে এর আগে দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
চলছে ইসরাইল ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা
বহুল আলোচিত ট্রাম্প ও কিমের বৈঠক ১২ মে