আওয়ার ইসলাম : মাত্র একদিন আগে প্রকাশ্যে গুলি করে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে হত্যা করার পর তারই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় হামলা হলো।
এ হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছে এবং আরো অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘনে।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহতদের খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নিহতরা হলেন, ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) প্রধান তপনজ্যোতি চাকমা, মহালছড়ির সেতু লাল চাকমা (৪০), কনক চাকমা (৩৮) ও সুজন চাকমা (৩০) এবং খাগড়াছড়ির পানছড়ি নিবাসী মাইক্রোবাসচালক বাঙালি সজীব (৩৪)।
এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। এর মধ্যে দিগন্ত চাকমা (৩০), অর্চিন চাকমা (২৮), অর্জুন চাকমা (৩০) ও মিহির চাকমার (২৮) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া জীবন্ত চাকমা (৩০), শান্তিরঞ্জন চাকমা (৩৪) ও প্রীতি কুমার চাকমা (৩৮) খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হতাহতদের সবাই নানিয়ারছড়ির পাহাড়ি রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক) এর সদস্য।
ইউপিডিএফের সূত্রে জানা গেছে, মাইক্রোবাসের বাঙালি ড্রাইভার মারা গেছেন। ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের নেতা লিটন চাকমা জানান, তারা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা শুনেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছেন।
শক্তিমান চাকমা উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাসভবনে থাকতেন। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে আসার পথে পরিষদ কার্যালয়ের ২০০ গজ দূরে দুজন অস্ত্রধারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তখন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান শক্তিমান। এ সময় একজন অন্ত্রধারী কাছে গিয়ে তাকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর আহত শক্তিমান চাকমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শক্তিমান চাকমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন : নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা
-আরআর