শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


‘রমজানে নিজ নিজ এলাকায় নমাজ ও কুরআন শিক্ষা চালু করুন’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও জামেয়া আহলিয়া দারুল উলুম হাটহাজারীর মুহতামিম শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, একজন মুসলমানের শিরকমুক্ত স্বচ্ছ ঈমান-আকীদাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।

আল্লাহ তাআলা কুরআনে ঈমানের আলোচনার পাশপাশি আমলে সালেহ বা সুকর্মের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। আমাদের আমল মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো শিরক ও বিদআতমুক্ত জীবন।

কুরআন-হাদিসে সত্য-মিথ্যা, হক-বাতিল, ঈমান-কুফর-শিরক প্রতিটি বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। আমলের প্রশ্নেও আল্লাহর রাসূল বিদআতকে কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আল্লামা আহমদ শফী বলেন- ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামায একটি ফরজ এবাদত। নামাজ মানুষকে সকল কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতি থেকে বিরত রাখে। তাই মুসলমানদের ঘরে ঘরে নামাজি সৃষ্টি করার জন্য ওলামায়ে কেরামকে দাওয়াতের মেহনত আরো মজবুত করতে হবে।

সাধারণ রয়স্ক মুসলমানদের নামাজ বিশুদ্ধ করার লক্ষে আগামী রমজান মাসে নিজ নিজ এলাকায় সহীহ নমাজ ও কুরআন শিক্ষা চালু করার জন্য তিনি সর্বস্তরের হেফাজত নেতা কর্মী এবং ওলামায়ে কেরামের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, মুসলমানরা নামাজী হলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি আসবে। কুরআন প্রেমিক হলে আল্লাহর রহমত নাজিল হবে। তাই কুরআন নাজিলের মাস রমজানে রহমত, বরকত এবং মাগফিরাত কামনায় বেশি করে কুরআন তিলাওয়াত, নফল ইবাদত করুন।

সমাজের গরিব, অসহায় সাধারণ মুসলমানদের জন্য ইফতার সামগ্রী বিতরণ, ইফতার মাহফিলের আয়োজন করুন। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখুন।

আজ বাদ আসর দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসায় হেফাজতে ইসলামের এক সভায় সভাপতির ভাষণে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী দা.বা. উপরোক্ত কথা বলেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্নমহাসচিব মাওলানা সলিমুল্লাহ, মাওলানা শেহাবুদ্দিন মদুনাঘাট, মাওলানা ফোরকান আহমদ, মওলানা আহমদ দিদার, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা মঈনুদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, হাটহাজারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী, মাওলানা হাফেজ তৈয়ব, মাওলানা হাজী ইউসুফ, মাওলানা জাফর আহমদ।

মাওলানা মীর ইদরিস, মুফতি আবদুল আজিজ, মাওলানা ইমরান নকীব, আলহাজ আহসানুল্লাহ, মাওলানা মাহবুবুর রহমান হানিফ, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা আলমগীর মাসউদ, হাফেজ মোহাম্মদ ফায়সাল, মাওলানা আবদুস সমী, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মুফতি আবু সাঈদ, মাওলানা মনসুরুল হক, মাওলানা শামসুদ্দিন আফতাব, মাওলানা এরশাদ বিন জালাল।

মাওলানা জয়নাল কুতুবী, মাওলানা শহীদুল ইসলাম, হাফেজ আবদুল আলীম, মাওলানা শফিউল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আহমদ রশিদ, মাওলানা কামরুল কাসেমী, মাওলানা ইমরান সিকদার, মাওলঅনা জাকারিয়া মাদানী, মাওলানা নুরুন্নবী, মাওলানা আশরাফ বিন ইয়াকুব, মাওলানা নিজামুদ্দিন আল হোসাইনী, কারী আবু রায়হান, মাওলানা মোহাম্মদ দিদার, মাওলানা আবুল হাসেম, মাওলানা আনাস জমিরী প্রমূখ।

সভায় আগামী ২৯, ৩০ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতি ও শুক্রবার চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে দুদিন ব্যাপী শানে রেসালত সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী তার বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ণাঙ্গ খ্রিষ্টান অঞ্চল বানাতে ষড়যন্ত্রের নানা ডালপালা বিস্তার লাভ করছে। পার্বত্য এলাকায় খ্রিস্টান মিশনারী অনেক এনজিও এবং কাদিয়ানীরা এসে আস্তানা গেড়েছে।

আমরা জানতে পেরেছি, ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে বিভিন্ন দেশের ১২ জন খ্রিস্টান সদস্য নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশন জাতিসংঘের দায়িত্বশীল কোন সংস্থা নয় কিংবা বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে গঠিত কোন সংগঠনও নয়।

তিনি বলেন, আমাদের এই ভূ-খ-ের প্রাকৃতিক-খনিজ সম্পদ গ্রাস করতে এবং এ অঞ্চলের মানুষদের ঈমান ছিনিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের চলছে। কিছু এনজিও দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি শিক্ষা ও ঈমান-আকীদা বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ ঈমান আকিদা বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুকাবেলা করতে হবে।

-আরআর

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ