আওয়ার ইসলাম : ‘আজ যখন বিশ্বব্যাপী ইসলাম ও মুসলমানদের সমূলে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে এবং মুসলমানদের পরষ্পর দ্বন্দ্ব সৃষ্টির হাজারো অপকৌশল চালানো হচ্ছে, ঠিক এহেন পরিস্থিতিতে দাওয়াত ও তাবলিগের এই মহান কাজে সৃষ্ট সমস্যার আশু নিরসন না হলে উম্মতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।’
আকাবির ও আসলাফের রেখে যাওয়া আমানত তাবলিগ জামাতের সৃষ্ট চলমান সংকটের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ।
তিনি সবাইকে আকাবির ও আসলাফের নকশে কদমে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসার এবং পারষ্পরিক ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আল্লামা মাসঊদ বলেন, সর্বত্র দীন কায়েমের জন্য সাধারণ মানুষ এবং উলামায়ে কিরামের মাঝে সুসম্পর্ক অটুট থাকা অপরিহার্য। আকাবির ও আসলাফের চেতনাসিক্ত তাবলিগের এ মহান কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং উলামায়ে কেরামের মধ্যে যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা আজ ইহুদি খ্রিস্টানরা বরদাশত করতে পারছে না।
ওয়ারিশে নবী হিসাবে এ সুসম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখা আমাদের সকলের ঐকান্তিক দায়িত্ব। যে কোনো মূল্যেই হোক না কেন আমাদের এ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
দীনদরদি সবার প্রতি শান্তির আহ্বান জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, তাবলিগের এই কাজকে গতিশীল রাখার জন্য সকলের প্রতি শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি আমরা। সাধারণ মানুষ এবং উলামায়ে কেরাম চিরদিন একে অন্যের সহযোগী। কেউ কারো পক্ষ-প্রতিপক্ষ হতে পারে না।
২৯ এপ্রিল ২০১৮ রোববার সকালে মাওলানা মাসউদুল কাদির স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা মাসঊদ এসব কথা বলেন।
আল্লামা মাসঊদ বলেন, সবাইকে শান্তি ও সহনশীল পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে সমস্যা নিরসনে এগিয়ে আসার আহবান জানাই। লক্ষণীয় যে, দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়ায় কাউকে বাধা দেওয়া বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অনুমতি দেয়নি। এই ক্ষেত্রে আমাদের কার্যক্রম দারুল উলুম দেওবন্দের বক্তব্যের উপর সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।
মাদারে ইলমি দেওবন্দ মাদরাসাকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা আমাদের কর্তব্য। কঠোর অবস্থান কারো জন্যই সুফল বয়ে আনবে না বরং তাবলিগের এবং দীনের কাজকে আরও বাধাগ্রস্ত করবে। অধিকন্তু ইসলামের দুশমনরা ঝোপ বুঝে কোপাঘাত হানার চেষ্টা চালাবে। তাই বৃহত্তর স্বার্থে ছাড় দিয়ে হলেও দাওয়াত ও তাবলিগি এ কাজের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার ঈমানি দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আল্লামা মাসঊদের এ বক্তব্যের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে স্বাক্ষর করেছেন শায়খুল হাদিস আল্লামা ইয়াহইয়া মাহমুদ, প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস, জামিয়া আজমিয়া রামপুরা। শায়খুল হাদিস আল্লামা রুহুল আমীন খান উজানী, প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস জামিয়াতুস সাহাবাহ উত্তরা, ঢাকা। মাওলানা দেলাওয়ার হুসাইন সাইফী, মুফাসসিরে কুরআন ঢাকা। মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, খতীব সেগুনবাগিচা জামে মসজিদ ঢাকা।
আরো স্বাক্ষর করেছেন, মুফতী ইবরাহীম শিলাস্তানী, প্রিন্সিপাল, মারকাজুল বাহসিল ইলমী ঢাকা। মুফতী মুহাম্মাদ আলী, প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস, ইদারাতুল উলুম আফতাব নগর, ঢাকা। মাওলানা হাবিবুল্লাহ গুলজার, শায়খুল হাদিস, জামিয়া মিফতাহুল উলুম বাড্ডা, ঢাকা। মাওলানা আসআদ আল হুসাইনী, ভাইস প্রিন্সিপাল, জামিয়া আজমিয়া রামপুরা, ঢাকা। মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস, মাদানী নগর খুলনা।
এসএস
আরো পড়ুন : চলে গেলেন পা হারানো রোজিনাও
‘কাকরাইলে যা ঘটছে তা খুবই দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক’