বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশে সৌদি সরকারের পাঠানো কোরবানির মাংস বিতরণ শুরু মেগাস্টার রজনীকান্ত-ধানুশের বাড়িতে বোমাতঙ্ক, যা বলছে পুলিশ ‘জুলাই সনদ পাস না হলে শহীদদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে’ এআইতে মানুষের অংশীদারত্বই হবে সবার মূল শক্তি: লিংকডইন সিইও জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুজালা ও আবনা সম্মেলন কাল প্রান্তিক মানুষদের পাশে বিত্তশালীদের দাঁড়ানোর আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হবে, সতর্ক থাকুন: প্রধান উপদেষ্টা মাদরাসা শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান, আহত ১৫ শিক্ষাব্যবস্থার পচন দূর করতে শুধু কমিশন করে কোনো লাভ হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা জুলাই সনদ রাজনৈতিক ফাঁকা বুলি নয়, এর আইনি ভিত্তি চাই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

শাবান মাসের ফযিলত ও আমল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য কিছু মাস পুরস্কার ও মহিমান্বিত করেছেন। তার মধ্যে শাবান মাস অন্যতম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসকে তাঁর নিজের মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

তিনি শাবান মাসে রোজা পালনের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করেছেন। শাবান এমনই ফজিলতপূর্ণ মাস; যে মাসে আল্লাহ তাআলা তাঁর রহমত ও বরকতের মাধ্যমে বান্দার সব চাহিদা পূরণ করেন।

আর যে ব্যক্তি এ মাসে প্রবেশ করবে, সে আল্লাহর রহমতের অন্তর্ভূক্ত হবে।শাবান মাসের ইবাদাত-বন্দেগির মধ্যে রোজার গুরুত্ব বেশি হওয়ায় প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন।

শাবানের ০১ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত রোজা পালনের বিশেষ ফজিলতের কথা বিভিন্ন হাদিসে ও উম্মাহুতুল মুমিনিনগণের বক্তব্যে পাওয়া যায়।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা রাখতে থাকতেন, যাতে আমরা বলতাম যে, তিনি (এ মাসে) আর রোজা ছাড়বেন না; আবার তিনি রোজা ভাঙ্গতে শুরু করতেন, যাতে আমরা বলতাম যে, তিনি (এ মাসে) আর রোজা রাখবেন না।

আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান মাস ছাড়া আর কখনো পূর্ণ মাস রোজা রাখতে দেখিনি। আর তাঁকে শাবান মাস ব্যতিত কোনো মাসে এতো বেশি রোজা রাখতেও দেখিনি।

অপর বর্ণনায় এসেছে, তিনি (আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ শাবানের পূর্ণমাসই রোজা রাখতেন। তিনি শাবানের রোজা রাখতেন তবে অল্প কিছু দিন (রাখতেন না)। (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, বাইহাকি, আবু দাউদ, মিশকাত)

হজরত উসামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ মাসে (শাবান) বেশি বেশি রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলাম। তিনি উত্তরে বললেন, ‘লোকেরা রজব ও রমজান এ দুই মাসের গুরুত্ব বেশি দেয় এবং রোজাও রাখে। কিন্তু মধ্যবর্তী এ মাসটিকে উপেক্ষা করে চলে। অথচ এ মাসেই বান্দার আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হয়।

আর আমার কামনা হলো- আমার আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করার সময় আমি রোজা অবস্থায় থাকি। এ কারণেই আমি শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখি। (নাসাঈ, আবু দাউদ)

হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে, সে রাতে তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখ।’ (ইবনে মাজাহ)

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘শাবান হচ্ছে আমার মাস, যে কেউ এ মাসে আমাকে সাহায্য করবে আল্লাহ তাআলা তার ওপর বিশেষ রহমত ও বরকত নাজিল করবেন। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাহায্য করা বলতে তাঁর সুন্নতের ওপর আমল করাকেই বুঝান হয়েছে।

তিনি শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা পালনের পাশাপাশি ইসতেগফার ও দরুদ শরিফ পাঠের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হিজরি বছরের তিনটি মাস তথা রজব, শাবান ও রমজান; এ তিনটি মাসেই অধিক ইস্তেগফার ও দরুদ শরিফ পাঠের সুপারিশ করা হয়েছে। অবশ্য তম্মধ্যে শাবান মাসের ওপর বেশি তাগিদ দেয়া হয়েছে।

মুহাদ্দিসিনে কেরামদের একটি মতামত দিয়ে শেষ করতে চাই- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মানিত স্ত্রীগণের মধ্য থেকে যাদের রমজানের রোজা ছুটে যেতো। সে রোজাগুলো তারা সারা বছর কাজা করার সুযোগ পেতেন না এবং শাবান মাসেই ভাংতি রোজাগুলো কাজা করতেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদের সঙ্গে রোজা রেখেই মাসটি অতিবাহিত করতেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শাবান মাসে বেশি বেশি রোজাHA পালন করে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরো পড়ুন-   আজ শাবানের চাঁদ দেখা গেছে, ১ মে শবে বরাত


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ