আওয়ার ইসলাম: নগদ অর্থ সংকটে ভুগছে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড । ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে যে পরিবর্তন শুরু হয় তা এখনো অব্যাহত থাকায় এমন অবস্থায় পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
আর ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের ছাঁটাই আতঙ্ক কাজ করছে। বিশেষ করে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে এ আতঙ্ক বেশি।
কোনো কারণ ছাড়াই সম্প্রতি ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার চাকরি যাওয়ায় এমন অবস্থায় পড়েছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা।
ব্যাংকের আমানত ও বিনিয়োগ হার (আইডিআর) বর্তমানে ৯২ শতাংশ হয়ে গেছে যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত হারের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ব্যাংকটি বন্ড ছেড়ে ৫০০ কোটি টাকা তোলার যে পরিকল্পনা নিয়েছিল তাও বাস্তবায়ন করতে পারছে না।
ফলে ব্যাংকটির অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, নগদ টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছে না। এক সময় এ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন খাতে ঋণ নেওয়ার জন্য বলা হতো, এখন কর্মকর্তারা ঋণের জন্য আবেদন করলেও তাদেরও ঋণ দিতে পারছে না ব্যাংকটি।
সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, বর্তমান মোট আমানতের পরিমাণ ৭৬ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে মুদারাবা আমানত ৬৭ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। আর বাকিটা খরচ ছাড়া (কস্ট ফ্রি) আমানত। ব্যাংকটির বিনিয়োগ রয়েছে ৭৭ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।
এ বিনিয়োগের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগ ৭৪ হাজার ৮৬ কোটি এবং বাকিটা শেয়ার বিনিয়োগ। সে হিসাবে আইডিআর ৯১ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের আমানতের ৮৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারে। তবে সার্বিক আর্থিক সূচক ভালো থাকলে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা যায়।
যদিও সর্বোচ্চ এ হার ১ শতাংশ কমিয়ে ৮৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব ব্যাংকের ঋণ ৮৯ শতাংশের বেশি রয়েছে তাদের আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এ সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে।
অারো পড়ুন- সিরিয়ার রাকায় গণকবরে ২শ’টি লাশ পাওয়া গেছে