সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরী বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ? জোটভুক্ত দলের প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ বহাল রাখার দাবি লেবার পার্টির

আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের নেতাদের বিচার চাইলেন রোহিঙ্গা আইনজীবী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের সঙ্গে 'ভয়ঙ্কর অপরাধ' করেছে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দেশটির নেতাদের বিচার দাবি করেছেন রোহিঙ্গা আইনজীবী রাজিয়া সুলতানা।

তিনি এ সংক্রান্ত বিচারের আয়োজন করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী নারীদের হয়ে কাজ করা ওই আইনজীবী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, 'আমি যেখান থেকে এসেছি, সেখানে শুধুমাত্র রোহিঙ্গা হওয়ার কারণে বিভিন্ন বয়সী নারীদের গণধর্ষণ, অত্যাচার ও হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।'

সুলতানাই প্রথম কোনো রোহিঙ্গা নারী, যে কিনা তার জনগোষ্ঠীর দুর্দশার কথা জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদকে জানালেন। মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছর ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগণ প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসে বাংলাদেশে।

এর আগেও আরো প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে সুলতানা বলেন, গবেষণা ও সাক্ষাতকারের বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে তিনি দেখেছেন যে, মিয়ানমার সরকারের সেনারা রাখাইন রাজ্যের ১৭টি গ্রামের তিনশ'রও বেশি রোহিঙ্গা নারীকে ধর্ষণ করে। এই সংখ্যা রাখাইনের ৩৫০টিরও বেশি গ্রামে ধর্ষিত হওয়া মোট নারী সংখ্যার একটি ভগ্নাংশ মাত্র।

ছয় বছর বয়সী শিশুরাও গণধর্ষণ থেকে রেহাই পায়নি জানিয়ে সুলতানা জানান, প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে রোহিঙ্গা মেয়েদেরকে ধরে এনে বাড়িতে নিয়ে গণধর্ষণ করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

কিছু নারীদের আবার জীবন্ত পুড়িয়েও মেরে ফেলা হয়। এ মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের। পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে সুলতানা বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে যেয়ে সেখানকার নারীদের সাথে কথা বলে দেখবেন আপনারা।

বাংলাদেশ থেকে ১২ বছরের কম বয়সী মেয়েদের যাতে কাজের লোভ দেখিয়ে বাইরে পাচার করে দেয়া না হয় সে বিষয়েও কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে নিরাপত্তা আরো জোরদারের আহ্বান জানান তিনি। অবিলম্বে সংঘাতকালীন ধর্ষণ বন্ধ করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান রোহিঙ্গা আইনজীবী রাজিয়া সুলতানা।

এদিকে, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বলেছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনমানের অবনতি ঘটেছে দু'টি সংগঠনই এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা প্রতিদিনই আরও খারাপ হচ্ছে। আসন্ন বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে

আরো পড়ুন- পূর্ব জেরুজালেমের জন্য ১৫ কোটি ডলার সহায়তা ঘোষণা সৌদি বাদশাহর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ