সুলাইমান সাদী : কোটা সংস্কার আন্দোলনের সফলতার পেছনে ১০ এপ্রিল ঢাবির সুফিয়া কামল হলের ঘটনাটি মূল ভূমিকায় ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওইদিন রাতে হলের ছাত্রলীগ সভাপতি ইফফাত জাহান ইশা আন্দোলনে অংশ নিতে চাওয়া ছাত্রীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এতে উত্তাল হয়ে যায় শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীরা।
ওই ঘটনায় মুর্শেদা খানম নামের এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয়ার ভিডিও চিত্র স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় আন্দোলন নতুন মোড় নেয়। এবং পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা আসে।
জানা গেছে, রগ কেটে যাওয়া ওই ছাত্রী সুফিয়া কামাল হলেরই ছাত্রলীগ সহসভাপতি ছিলেন।
১০ এপ্রিলের ঘটনার ওই রাতেই অভিযুক্ত ইশা বহিস্কৃত হলেও ৩ দিনের মাথায় তাকে আবার হলে ও ছাত্রলীগে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর ৩ দিন পর আবার গতকাল সোমবার ছাত্রলীগ বহিস্কার করল ভিকটিম মুর্শেদা খানমসহ ২৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে।
সোমবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতা–কর্মীরা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন, সুফিয়া কামাল হল শাখার সহসভাপতি মুর্শেদা খানম, আতিকা হক স্বর্ণা, মিরা, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতী আক্তার সুমি, সহসম্পাদক শ্রাবণী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার, উপতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আশা।
বহিষ্কৃত কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী লিজা ও মিথিলা ইসরাত চৈতী, চারুকলা বিভাগের সুদীপ্তা মণ্ডল ও অনামিকা দাশ, সংগীত বিভাগের সোনম সীথি, প্রিয়াঙ্কা দে ও প্রভা, ভূতত্ত্ব বিভাগের শিলা ও জাকিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মনিরা ও রুনা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শারমিন সুলতানা, উর্দু বিভাগের মিতু, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগ জুঁই, বাংলা বিভাগের তানজিলা ও সমাজকল্যাণ বিভাগের তাজ ।
এ ব্যাপারে সাইফুর রহমান সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, সুফিয়া কামাল হলের সেই দিনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় যাঁরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, শুধু তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আর বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি।
এসএস
আরো পড়ুন : রোহিঙ্গা শিবিরের ভেঙ্গে ফেলা মসজিদ পুনঃনির্মাণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম