সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

হংকংয়ে দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবরার আবদুল্লাহ : চিনের স্বশাসিত রাজ্য হংকংয়ে বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। কিন্তু সেই হারে বাড়ছে মসজিদ ও মাদরাসা। তাই হংকংয়ের মুসলিম নাগরিকগণ একটি কেন্দ্রীয় মুসলিম মারকাজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

মুসলিম মারকাজে থাকবে প্রার্থনাকক্ষ, মুসলিম স্কুল, মিলনায়তন, চিকিৎসাকেন্দ্র ও লাইব্রেরি। আর তা নির্মাণে ব্যয় হবে ৪৫.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ অর্থ সংগ্রহ করা হবে স্থানীয়ভাবেই।

গত বছর মুসলিম নাগরিকদের নগদদানে ১.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগৃহিত হয়েছে।

হংকংয়ের সিং সুই নামক স্থানে এ মসজিদ নির্মাণ করা হবে। যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়লেও নেই কোনো মসজিদ।

মসজিদ নির্মাণের উদ্যোক্তা সংগঠন ইউনাইটেড মুসলিম এসোসিয়েশন অব হংকং-এর কোষাধ্যক্ষ নাদিয়া কাস্ট্রো বলেন, হংকং-এ মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে এবং প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মুসলিম এ দেশে আসেন। তাদের জন্য মসজিদ অপরিহার্য। মুসলিম নাগরিকদের চাহিদা পূরণের জন্য এ মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটাকে শুধু একটি মসজিদ হিসেবে নয়; বরং একটি সামাজিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা আশা করি খুব ধীরে হলেও আমরা তা নির্মাণ করতে সক্ষম হবো।’

বর্তমানে হংকংয়ে স্থানীয় ও অভিবাসী মিলিয়ে ৩ লাখের বেশি মুসলিম বসবাস করেন। তাদের জন্য রয়েছে ৫টি স্থায়ী এবং ১টি অস্থায়ী মসজিদ। ১২টি মাদরাসা। কিন্তু এই সীমিত জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় অনেক মুসলিম ক্ষণস্থায়ী মসজিদে (বড় সড়ক, পার্ক, বাড়ির ছাদে বা নিচতলায়) নামাজ আদায় করেন।

হংকংয়ের কেন্দ্রীয় মারকাজ মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ১৯৯০ সালে। ২০০৬ সালে এসোসিয়েশন ১.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে একটি জমি কিনে। তাদের লক্ষ্য ছিলো ২০১১ সালের মধ্যে মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ করবে। কিন্তু তা সম্ভব হয় নি।

২০০৯ সালে সৌদি আরব এ প্রকল্পে অর্থায়ন করলেও তেলের মূল্য কমে যাওয়া তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন হংকংয়ের মুসলিমরাই নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শেষ করছে।

এসএস

আরো পড়ুন : দিল্লির দীনিয়াত সেন্টারের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ