আবদুল্লাহ তামিম: জাতিসংঘকে উপেক্ষা করে প্রথম রোহিঙ্গা পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়েছে মিয়ানমার। প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইন এখনও প্রস্তুত নয় বলে মনে করছে জাতিসংঘ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মতো বাস্তবতা সৃষ্টি হয়নি বলে মনে করে। তা সত্ত্বেও শনিবার বাংলাদেশ থেকে ৫ সদস্যের এক রোহিঙ্গা পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়েছে নেপিদো। মিয়ানমার সরকারের এক বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দুই বছরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা-নেপিদো প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে মিয়ানমার রাখাইনে দুটি অভ্যর্থনাকেন্দ্র স্থাপন করেছে।
এগুলোকে অস্থায়ী শিবির নামে ডাকছে মিয়ানমার। তবে সেখানে বহুল প্রতীক্ষিত ও বিরল সফর শেষে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য এখনও তৈরি নয় রাখাইন। সরেজমিন বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখে এবং সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল উরসুলা মুয়েলার এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
৬ দিনের সফর শেষে উরসুলা মুয়েলার সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতূলতা, নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আর অব্যাহত স্থানচুত্যির ঘটনা ঘটছে ধারাবাহিকভাবে। এই পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার জন্য সহায়ক নয়। ভবিষ্যতেও প্রত্যাবাসন আদতে সম্ভব কিনা, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। তবে জাতিসংঘের এই সংশয়কে আমল না নিয়ে মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম রোহিঙ্গা পরিবারকে ফিরিয়ে নিলো।
আরো পড়ুন- রোহিঙ্গা ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা