শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


বাইতুল্লাহর জুমার খুতবা: সংক্ষিপ্ত অনুবাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: সৌদি আরবের বাইতুল্লাহয় খুতবা দিয়েছেন শায়খ আবদুর রহমান সুদাইস। খুতবার সংক্ষিপ্ত আলোচনা দেয়া হলো।

আজ রজবের শেষ জুমা । আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া যে আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে এ মুবারক মাস দিয়েছেন। সামনে মহামান্বিত রমজান মাস আসছে। আল্লাহর শুকরিয়া আল্লাহ তায়ালা তাঁর পবিত্র ঘরে আমাদের কে প্রথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত খেকে এখানে একত্রিত হওয়ার তাওফিক দান করেছেন।

হে মুসলিম ভাই আমাদের কে আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য অগনিত নেয়ামত দিয়েছেন। আল্লাহর নেয়ামতের কোনো সীমা নেই। তারপরও আমরা আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করি না আমরা। আজ এ পবিত্র জায়গায় আমাদের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করছে। আল্লাহ আমাদের কে এ আল্লাহর বায়তুল্লাহয় আসার তাওফিক দিয়েছেন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের রাত্র দিন দিয়েছেন আমরা তার শূকরিয়া আদায় করি না। আমাদেরকে তুমি সবকিছুই দিয়েছ আমরা তোমার শূকরিয়া অাদায় করি ।তুমি আমাদের অঙ্গ দিয়েছ চোখ দিয়েছ আমরা তোমার শুকরিয়া আদায় করি।

আল্লাহ তায়ালার জন্য আমাদের জন্য সবকিছু হওয়া্ দরকার। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।(আনআম-১৬২)

আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে সফা মারওয়ায় সায়ি করার বিধান দিয়েছেন। গোনাহ মাফের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাদেরকে এত সুন্দর এত বড় একটি জামাতে নামাজ আদায় করার তাওফিক দিয়েছেন। সে জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে বেশি বেশি।

আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আল্লাহ আমাদেরকে আল্লাহর পবিত্র ঘরের রক্ষণাবেক্ষণ আর খেদমত করার তাওফিক দিয়েছেন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য যা হালাল করেছেন তা হালালই। আর যা হারাম করেছেন তা হারাম। আমাদের সমাজ থেকে সব ধরণের খারাপ জিনিস দূর করার জন্য আমাদের ইচ্ছেই যথেষ্ট।

আমরা রাসুলের গুণাবলি নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারলেই আমরা উভয় জাহানে সফলতা অর্জন করতে পারবো। হযরত ইবনে মাসউদ রা. বলেন আমাদের অনক্যই আমাদের মাঝে ফেতনা তৈরি করে। আজ সারা বিশ্বে মুসলমানদের অনক্যই আমাদের অধপতনের করণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদি আমরা এক আত্মা আর এক পরিবারের মত থাকি তাহলে আমাদের কে কেউ কোনো অপশক্তি পৃথক করতে পারবে না।

রাসুল সা. বারবার আমাদের ঐক্যের কথা বলেছেন। রাসুল সা . কথা অনুযায়ি মুসলামানদের এক অঙ্গ আঘাত প্রাপ্ত হলে আরেক অঙ্গও ব্যথা প্রাপ্ত হওয়ার দরকার ছিলো কিন্তে আজ আমাদের এ অবস্থার কা্রণে আমাদের অনক্য সারা বিশ্বব্যাপী।

আমারা আজও যদি এক্যবদ্ধ হই তাহলে অল্প সখ্যকও অধিকের উপর বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হবো । আমাদের জন্য অাল্লাহর সাহায্য তখনই আসবে যখন আমসরা একই কাতারে একিবদ্ধ হবো্

আজ অমাদের মাঝে রমজান মাস আগত । রমজানের জন্য অমাাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। রমজান পেলে সে যদি গুনাহ ক্ষমা করাতে না পারে তাহলে তার মতো হতভাগ্য আর নাই।

হে আল্লাহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের কে তুমি হেফাজত কর। লেবানন সিরিয়াসহ সব মুসলমানদের অভিবাবক হয়ে যাও।

আর রমজানের জন্য আমাদেরকে শারীরিকও মানসিক ভাবে প্রস্তুতি অর্জন করতে হবে। আমাদের কে সর্বপরি রাসুলের সুন্নাতকে আকড়ে ধরতে হব। রমজান পর্যন্ত আমাদেরকে পৌঁছে দাও। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুণ।

আরো পড়ুন- ছবি কথা বলে: বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত জাদুঘর সৌদিতে


সম্পর্কিত খবর