বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


নিজামুদ্দীনে চলছে বাংলাদেশিদের জোড়ের প্রস্তুতি : নেই কাকরাইলের অধিকাংশ আলেম শুরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তাওহিদ মাদানী
নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকে

আগামী ১৪ এপ্রিল দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশি সাথীদের জোড়। ৩ দিনব্যাপী এ জোড় আগামী ১৭ শেষ হবে।

এতে অংশ নিচ্ছেন না কাকরাইলের অধিকাংশ আলেম ও শুরা সদস্য। কাকরাইল শুরার উপদেষ্টা কমিটিসহ দেশের শীর্ষ আলেমদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আলেমরা জোড়ে অংশ নিচ্ছেন না বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে আওয়ার ইসলাম।
তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার সাধারণ সাথীদের উপস্থিতির পরিমাণ বেশি হবে বলেই ধারণা করছেন নিজামুদ্দিনের দায়িত্বশীলগণ।

ধারণা করা হচ্ছে, মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় বয়ান করতে না দেয়ায় তার অনুসারীদের বাড়তি সমাগম হচ্ছে দিল্লির নিজামুদ্দিনে। সম্ভবত একই উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দিল্লির নিজামুদ্দিনে বাংলাদেশিদের এ জোড় আবার নতুনভাবে শুরু করা হয়েছে।

বাংলাদেশি জোড়ের দায়িত্বশীল ডা. রেজা আরিফ জানান, ইতিমধ্যে নিজামুদ্দিনে প্রায় ২ হাজার সাথী পৌঁছেছেন এবং আর দেঢ় হাজারের মতো সাথী কলকাতাসহ বিভিন্ন মারকাজে অবস্থান করছেন। তারা আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যে নিজামুদ্দিন পৌঁছাবেন।

বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা থেকেই তাবলিগি সাথীরা নিজামুদ্দিন জোড়ে অংশ নিচ্ছেন। দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজেও বাংলাদেশের প্রায় সব জেলার নাম লিখে এরিয়া ভাগ করা হয়েছে।

সাধারণ সাথীদের উপস্থিতি বাড়লেও জোড়ে আলেমদের উপস্থিতি চোখে পড়ছে না। বিশেষত শুরা সদস্য আলেমগণ এবারের জোড়ে অংশ নিচ্ছেন না। তবে মাওলানা সাদ-এর অনুসারীখ্যাত মাওলানা মুজাম্মিল হক ও মাওলানা মোশাররফ জোড়ে অংশ নিবেন।

আলেম নন এমন শুরা সাথীদের মধ্যে খান শাহাবুদ্দিন নাসিম, প্রফেসর ইউনুস শিকদার ও শেখ নূর মুহাম্মদ অংশগ্রহণ দিল্লিতে পৌঁছেছেন। তবে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম এখনও ভারতের ভিসা পান নি বলে কাকরাইল সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, দিল্লি নিজামুদ্দিন মারকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভির কিছু বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় এবং তিনি তা থেকে ফিরে না আসায় বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমগণ এবারের দিল্লি জোড়ে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমে দীন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী এক চিঠিতে নিজামুদ্দিনের এ জোড়ে বাংলাদেশের সাথীদের অংশ না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক মসজিদে তাবলিগ বিষয়ে অনুষ্ঠিত আলেমদের বৈঠকেও এমন আহ্বানই করা হয়েছিল।

গত ৩১ মার্চ বাহাদুর শাহ পার্ক মসজিদে তাবলিগ জামাতের উপদেষ্টা আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল- ‘বর্তমান সঙ্কট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নিজামুদ্দিন থেকে কোনো জামাত বা কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে আগমন করা কাজের জন্য মুনাসিব নয়।

তাই বাংলাদেশের কোনো হালকা/এলাকা/মসজিদে তাদের জামাতকে (উলামায়ে কেরামগণের পরামর্শ ব্যতিত) এস্তেকবাল না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

কিন্তু সব আহ্বান ও নির্দেশনা উপেক্ষা করেই বাংলাদেশের সাথীরা দিল্লিতে যাচ্ছেন।

এদিকে নিজামুদ্দিনের সাম্প্রতিক বয়ানগুলোতে অন্যসব বিষয়ের চেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে আমিরকে মানা ও তাকে অনুসরণের গুরুত্ব। মুন্তাখাব হাদিসের তালিম আর ছয় উসুলের বয়ান অন্য সময়ের চেয়ে কমে এসেছে।

এসএস

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ