হামিম আরিফ: চাকরিতে কোটো সংস্কার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চলছে। তবে সম্প্রতি এ আন্দোলন তীব্রতর হয়েছে। গতকাল ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে সারাদেশে ছাত্ররা এর প্রতিবাদ করছেন।
ঢাকায় এ আন্দোলনে পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলন গভীর হতে থাকে। শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেন। এখনও চলছে সে আন্দোলন আর দফায় দফায় সংঘর্ষ।
যে পাঁচটি বিষয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে সেগুলো হল -
১. কোটা-ব্যবস্থা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা (আন্দোলনকারীরা বলছেন ৫৬% কোটার মধ্যে ৩০ শতাংশই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ। সেটিকে ১০% এ নামিয়ে আনতে হবে)।
২. কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া।
৩. সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়স-সীমা- (মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরির বয়স-সীমা ৩২ কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০। সেখানে অভিন্ন বয়স-সীমার দাবি আন্দোলনরতদের।)
৪. কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ পরীক্ষা নেয়া যাবে না (কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাকরি আবেদনই করতে পারেন না কেবল কোটায় অন্তর্ভুক্তরা পারে)।
৫. চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার করা যাবে না।
বাংলাদেশে প্রচলিত কোটা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা শুধু শিক্ষার্থী বা চাকরি-প্রার্থীদের মাঝেই রয়েছে তেমনটি নয়, বিশেষজ্ঞদেরও মতামত রয়েছে কোটা সংস্কারের পক্ষে।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আকবর আলি খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটায় যে চাকরি সেটা শুধুমাত্র যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং যারা সরকারের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন, তাদের সন্তানদের জন্য রাখা যেতে পারে।
কিন্তু যারা সচ্ছল, সেসব মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের যদি কোটা দেয়া তাহলে তো পুরষ্কার দেয়া হবে। সেটা তো অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সহায়তা করা হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে কোটা ব্যবস্থা আছে তাতে মেধাবীদের চাকরি পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে এখন ২৫৮ ধরনের কোটা আছে। এ কোটা ব্যবস্থার কারণে অনেক মেধাবী প্রার্থীরা চাকরীর পরীক্ষা দিতে রাজী হয় না।
কোটা সংস্কার আন্দোলন : আহত অর্ধশতাধিক; আটক পাঁচ
আরআর