শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ভুল চিকিৎসায় চোখে সংক্রমণ, একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হলো ২০ রোগীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে অপারেশনের পর চোখে সংক্রমণ দেখা দেয় ২০ রোগীর। পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করালেও চোখ আর ভালো হয়নি।

২০ জন রোগীর একটি করে চোখ হারাতে হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা সিভিল সার্জন। অভিযুক্ত হাসপাতালের প্রশাসকের দাবি, অস্ত্রোপচারের সময় ভারতীয় অরোল্যাব কোম্পানির 'অরোব্লু' নামক ওষুধ রোগীদের চোখে ব্যবহার করা হয়, যাতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ছিল।

এই ঘটনায় ইতোমধ্যে অভিযুক্ত হাসপাতালটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়,  গত ৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে, ২৪ জন রোগী তাদের চোখের অস্ত্রোপচার করে। পরবর্তীতে তীব্র যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়ে, অস্ত্রোপচার করা ১০ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ।

এরপর ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পাঠায় বেসরকারি হাসপাতালটি। সেখানে যন্ত্রণা নিরসনে এবং অন্য একটি চোখ বাচাতে প্রত্যেকেরই একটি করে চোখ তুলে ফেলা হয়। দরিদ্র এই মানুষগুলো ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি এই দুর্ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।

যারা অপারেশনের পর একটি করে চোখ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- চুয়াডাঙ্গা গাইদঘাটের গোলজার হোসেন, আলুকদিয়ার ওলি মোহাম্মদ, আলমডাঙ্গার বাড়াদী এনায়েতপুরের খন্দকার ইয়াকুব আলী, খাসকররার লাল মোহাম্মদ, আলমডাঙ্গার সোনাপট্টির আবনী দত্ত, আলমডাঙ্গা মোড়ভাঙ্গার আহমেদ আলী, হারদীর হাওয়াতন, দামুড়হুদা লক্ষ্মীপুরের তৈয়ব আলী, মদনার মধু হালদার, আলমডাঙ্গা নতিডাঙ্গার ফাতেমা খাতুন, খাস-বাগুন্দার খবিরন নেছা, জীবননগর সিংনগরের আজিজুল হক, দামুড়হুদা চিৎলার নবীছদ্দিন, মজলিশপুরের সাফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা রংপুরের ইকলাস, দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গার গোলজান, সদাবরীর হানিফা, আলমডাঙ্গা স্টেশনপাড়ার কুতলি খাতুন, কুটি পাইকপাড়ার উষা রাণী এবং দামুড়হুদার বড় বলদিয়ার আয়েশা খাতুন।

এদিকে এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ইম্প্যাক্টের অপারেশন থিয়েটারসহ ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা.খায়রুল আলম। সে সময় তিনি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে (২ এপ্রিল) তাদের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন : চোখ ভালো করতে এসেছিলেন; ফিরতে হলো চোখ রেখে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ