সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
গ্রেপ্তার এড়াতে বাস পাল্টায়, গন্ধে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ধরা খেল তরুণী দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সত্তর হাজার কালেমা পড়লে কি মাগফিরাত পাওয়া যায়? ঢাবির হল রিডিংরুমে বসছে এসি, সংস্কার হবে ক্যান্টিনও: ডাকসু জিএস ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদরাসা ছাত্রী, অভিযুক্ত জামায়াতকর্মী গ্রেপ্তার. ইসলামকে একটি বার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ শায়খে চরমোনাইয়ের বক্তা আমির হামজার বক্তব্য মনগড়া ও অসত্য: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে বিআরটিএ নিজ খরচে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করলেন তামিম ইকবাল ফজলুর রহমানের মন্তব্যের প্রতিবাদ ডাকসু নেতাদের

চোখ ভালো করতে এসেছিলেন; ফিরতে হলো চোখ রেখে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: কথা ছিল চোখ ভালো করে দেবেন। কিন্তু হলো উল্টো। এদের কারো চোখে সামান্য সমস্যা ছিল। আশা করছিলেন সুন্দর এ পৃথিবী পুরোটা দেখবেন আরও পরিস্কার। কিন্তু এ আশা যেন গুড়েবালি।

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় একটা করে চোখ হারিয়েছেন ২০ জন নারী-পরুষ। একই দিনে ঘটা এই অবিশ্বাস্য ঘটনায় তোলপাড় চলছে চুয়াডাঙ্গা জেলায়।

জানা যায়,  গত ৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোমিরয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ২৪ জন রোগীর একটি করে চোখে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের একদিন পরই ছাড়পত্র দিয়ে রোগীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।

কিন্তু বাড়িতে ফেরার পর ওই দিনই চোখে তীব্র যন্ত্রনা শুরু হলে তারা একে একে ২০ জনই পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রাথমিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে চোখে ইনফেকশন হয়েছে।

কিন্তু রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউ ও ভিশন আই হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু ততক্ষণে ভুল চিকিৎসায় এক চোখ নষ্টই হয়ে গিয়েছে। যে কারণে পরে অপারেশন করে চোখ তুলে ফেলা হয়।

ঘটনার পর এলাকায় চরম বিক্ষোভ দেখা দিলে অপারেশন করা ডা. মোহাম্মদ শাহীন চুয়াডাঙ্গা থেকে গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সদর উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের প্রতিবন্ধী গোলজার হোসেন জানান, সামান্য দর্জির কাজ করে সংসার চালাতাম। বাম চোখ দিয়ে পানি পড়তো। এ কারণে খুব কষ্ট করে ৩ হাজার টাকা জোগাড় করে হাসপাতালে চোখ অপরারেশন করাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে একটি চোখ হারিয়েছি। অন্য চোখটিতেও ইনফেকশন দেখা দিয়েছে।

যারা অপারেশনের পর একটি করে চোখ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- চুয়াডাঙ্গা গাইদঘাটের গোলজার হোসেন, আলুকদিয়ার ওলি মোহাম্মদ, আলমডাঙ্গার বাড়াদী এনায়েতপুরের খন্দকার ইয়াকুব আলী, খাসকররার লাল মোহাম্মদ, আলমডাঙ্গার সোনাপট্টির আবনী দত্ত, আলমডাঙ্গা মোড়ভাঙ্গার আহমেদ আলী, হারদীর হাওয়াতন, দামুড়হুদা লক্ষ্মীপুরের তৈয়ব আলী, মদনার মধু হালদার, আলমডাঙ্গা নতিডাঙ্গার ফাতেমা খাতুন, খাস-বাগুন্দার খবিরন নেছা, জীবননগর সিংনগরের আজিজুল হক, দামুড়হুদা চিৎলার নবীছদ্দিন, মজলিশপুরের সাফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা রংপুরের ইকলাস, দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গার গোলজান, সদাবরীর হানিফা, আলমডাঙ্গা স্টেশনপাড়ার কুতলি খাতুন, কুটি পাইকপাড়ার উষা রাণী এবং দামুড়হুদার বড় বলদিয়ার আয়েশা খাতুন।

চোখ ধাঁধানো নীল রঙের মসজিদটি!

-রোরা


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ