আবদুল্লাহ তামিম: ইসলাম আল্লাহর মনোনিত ধর্ম। আল্লাহর মনোনিত ধর্ম বলতে এখন সারা পৃথিবীতে ইসলামই অবশিষ্ট আছে।
মুসলমানদের সম্পর্কে মিডিয়ায় ভুল তথ্য প্রচার নতুন কিছু নয়। মুসলিমরা ভালো ইসলামিক বই অনুসন্ধান করে ইন্টারনেটে। কিন্তু সচরাচর ভালো বইগুলো খুঁজে পায় না অনেকেই। আমরা তাদের জন্য ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বই উপস্থিত করছি।
রেজা আসলান লিখিত এ বইটে সারা বিশ্বে আলোচিত একটি বই। বইটির নাম ‘নো গড বাট গড’ ইসলামের উৎস কী। কোথা থেকে ইসলাম আসছে এ সম্পর্কে সুন্দর আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি জানতে চান যে ইসলাম ধর্মের সূচনা কেমন করে হয়েছিলো।
ইসলামের শুরু লগ্ন থেকে মুসলমানরা কেমন ছিল। বিশ্বজুড়ে ইসলামি বিশ্বাসের ভিত্তি ছড়িয়ে পড়ে কীভাবে, এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে চাইলে এই বই আপনার জন্য। বইয়ে আরো জানা যাবে, একজন অমুসলিম কীভাবে দেখন ইসলাম ধর্মকে।
গ্রেট থিফ্ট: খালেদ আবু আল ফাদল রচিত। চরমপন্থীদের থেকে ইসলামকে পৃথক করে তিনি তার বইয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ইসলাম কোনো সন্ত্রাস সৃষ্টি করে না। তারপরও বিশ্বের কিছু অংশে মুসলমানরা যুক্তিসঙ্গত চিন্তাধারার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে আক্ষরিক ব্যাখ্যায় চরমপন্থায় মাঝে মাঝে সহিংসতা শুরু করে।
আজকে মুসলিম দেশগুলোতে আমরা দেখছি যে রাজনৈতিক আন্দোলনগুলি কিছুটা জঙ্গিবাদের উত্থানের সাথে জড়িত, এটা সত্যিই একটি চমৎকার উপায়। কিন্তু তারপরও মানুষ বুঝতে চায় না যে ইসলামে কোনো চরমপন্থা ও সন্ত্রাস নেই। এ বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছেন তার গ্রন্থে।
শেলিনা জিনোমহেম এর জেনারেশন এম ইয়ং মুসলিমস চ্যাঞ্জিং দ্য ওয়ার্ল্ড। মুসলিম যুবকদের নিয়ে লেখা বই।
মুসলিম যুবকদের চিন্তা-চেতনা মন-মানুষিকতা ইত্যাদি দিক তোলে ধরা হয়েছে এ বইটিতে।মুসলিম যুবকদের ঐক্য ইতিহাসে অনন্য শক্তি সৃষ্টি করেছে। মুসলমান একটি ধর্মীয় আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথিবী পরিবর্তনের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এ বইয়ে মুসলিমরা উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি, ফ্যাশন, খাদ্য, ভোক্তাবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আরো অনেক কিছু সঙ্গে জড়িয়ে লেখা হয়েছে সুন্দর করে।
ইনগ্রিড ম্যাটসনের দ্য হিস্টোরি অব দ্য কুআন। কুরআনের ঘটনাবলী নিয়ে সংক্ষিপ্ত একটি বই। তবে বইটিতে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও এমনকি রাজনৈতিক তাৎপর্য স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে।
এই বইটিতে মুসলিম জীবনের কিছু অনুভূতির তখ্যও লিখেছেন। মুসলিমদের মনে জেগে ওঠা কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর দেয়া হয়ি এ বইটিতে।
কারেন আর্মস্ট্রং লিখিত মুহাম্মদ এ প্রফেট ফর আওয়ার টাইম। প্রত্যেক মুসলমানরই উচিৎ শেষ নবী কে নিয়ে লেখা এ বইটি পড়া। আর্মস্ট্রং ইসলাম সম্পর্কে অনেক বই লিখেছেন। সবগুলো বই অসাধারণ।
কিন্তু এ লেখক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্পর্কে অনেক কিছু জানত না। তারপরও তার রচনা একটি নিরপেক্ষ, ঐতিহাসিক বই হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।এ বইটি ধর্মীয় বিশ্বাস ও আল্লাহর মনোনিত ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সুন্দর আলোকপাত করেছে।
১০০১ ইনভেনশন। মুসলিম সভ্যতাগুলি সলিম আল-হাসান ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করেছেন। যারা ইসলাম কিংবা মুসলমানদের সমালোচনা করে তাদের অবশ্যই পড়া উচিত।
আল্লাহর দাসগণ: আফ্রিকান মুসলমানরা সিলভিয়াম এ দিউয়ের দ্বারা আমেরিকায় আক্রমণ করে যে সব মুসলমান আরব, দক্ষিণ এশীয় বা নতুন এই দেশে আসেন। এটি আফ্রিকান ক্রীতদাসদের সাথে ইসলামের আগমন এবং ধর্মীয় বেঁচে থাকার সংগ্রামকে নিবিড় গবেষণা প্রদান করে।
আমির হোসেনের রচিত গ্রন্থ মুসলিম এন্ড দ্য মেকিং অব আমেরিকা। আমেরিকার মুসলমানদের সম্পর্কে আরেকটি বই। কিন্তু এটি এক বিস্ময়কর ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয়েছে।
আমেরিকান জনপ্রিয় সংস্কৃতির দিকগুলি তুলে ধরেছেন এ গ্রন্থে। সঙ্গীত, রাজনীতি, স্থাপত্য ও খেলাধুলা স্থান পেয়েছে গ্রন্থে। বইটি সংক্ষিপ্ত হলেও তথ্যপূর্ণ আলোচনা রয়েছে তাতে।
আই স্পিক মাই সেল্ফ: আমেরিকান উইমেন অন বিইং মুসলিম। ৪০জন আমেরিকান মুসলিম নারীর সাক্ষাতকার নিয়ে রচিত হয়েছে বইটি। তারা তাদের ইসলামি বিশ্বাস নিয়ে কথা বলেছেন।
দ্য ফেয়ার অব ইসলাম: এন ইন্ট্রোডাকশন অব ইসলামফোবিয়া ইন দ্য উয়েস্ট। পৃথিবীর পশ্চিমাঞ্চলে ইসলামোফোবিয়া বা মুসলমানদের একটি অযৌক্তিক ভয় সম্পর্কে লেখা এ বইটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়কা পেয়েছে।
এই নিবন্ধটি মূলত বিশ্ববিখ্যাত ভয়েস ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিলো।
সূত্র: হাফ পোস্ট
আরো পড়ুন: কাবা সম্পর্কে ১০টি তথ্য