মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ।। ৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ৯ রমজান ১৪৪৫


রোহিঙ্গাদের চাপে বিপন্ন কক্সবাজারের স্থানীয়রা, বাড়ছে অসন্তোষ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: নির্মমতার সীমা ছাড়িয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা লাখ লাখ মানুষের জন্য রাষ্ট্রীয় সীমান্ত উন্মোচন করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। আর দেশের কক্সবাজার উপকূলের মানুষ উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন হৃদয়ের সীমান্ত।

জাতীয়তার গণ্ডি অতিক্রম করে তারা আশ্রয় হয়েছিল পৃথিবীর সবথেকে বিপন্ন আর ভাগ্যহারা ওই শরণার্থীদের। তবে গত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে ধেয়ে আসা রোহিঙ্গা স্রোতের টান লেগেছে কক্সবাজারের আর্থসামাজিক বাস্তবতায়। সেখানকার আর্থসামাজিক পরিবর্তনের প্রভাবে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। রোহিঙ্গাদের মতোই বিপন্ন হয়ে পড়েছে তারা।

অতিরিক্ত ৭ লাখ মানুষের চাপে হুমকির মুখে পড়েছে সেখানকার বনভূমি ও জীজবৈচিত্র্য। এশিয়াভিত্তিক ক্যাথলিক সংবাদমাধ্যম ইউসিএ এক সরেজমিন অনুসন্ধান শেষে জানিয়েছে, একইরকম বিপন্ন হয়ে পড়ায় রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি কমছে কক্সবাজারের মানুষদের। বাড়ছে অসন্তোষ।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছিল তখন সবার প্রথমে তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় স্থানীয় জনগণ। পানি, খাবার ও আশ্রয় দিয়ে পাশে এসে দাঁড়ায় তারা।

রোহিঙ্গাদের দূরের মনে না করে কাছে প্রথম থেকেই কাছে টেনে নিয়েছিল স্থানীয়রা। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ ও স্থানীয় জনগণের প্রশংসা করেছিল আন্তজার্তিক সম্প্রদায়।

জাতিংঘের তিন সংস্থার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছিল,‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিশ্চিতে সীমান্ত খুলে দিয়েছে। পালিয়ে আসা মানুষদের জন্য নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা আর আশ্রয়।

রোহিঙ্গাদের প্রতি স্থানীয়দের আর্তি আর উদারতা আমাদের হৃদয়ে নাড়া দিয়ে গেছে।’ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংগঠনও বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করে। প্রশংসা করেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ীরা। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পাল্টাতে শুরু করে। আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে স্থানীয় জনগণের ওপর। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে, কমে গেছে আয়ের উৎস।

এখনও ঘৃণা নেই, তবে কিছু অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে বলে জানায় ইউসিএ নিউজ। এসময় তারা ‍তুলে ধরে আক্কাস আলি নামে এক স্থানীয়ের গল্প।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ