রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫


আলেমদের মনোকষ্ট দূর করতে আরজাবাদ মাদরাসায় তাবলিগি মুরব্বিরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আতাউর রহমান খসরু

গতকাল ২১ মার্চ বুধবার বৃহত্তর মিরপুরের উলামায়ে কেরামের সঙ্গে তাবলিগি সাথীদের ভুল বুঝাবুঝির অবসান এবং আসন্ন রমজান উপলক্ষে তাশকিলের জন্য মিরপুর জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ সফর করেছেন তাবলিগ জামাতের মুরব্বিগণ।

মুরব্বিগণ মাদরাসার মসজিদে দু’দফায় ৩টি বয়ান করেছেন। সেখানে মাদরাসার ছাত্ররা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য আলেম ও সাধারণ তাবলিগি সাথীরা। নির্ধারিত সময়ের আগেই কানায় কানায় ভরে যায় পুরো মসজিদ।

সফরকারীদের মধ্যে ছিলেন তাবলীগের শুরা সদস্য মাওলানা যোবায়র আহমদ, মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা শামীম এবং মাওলানা ওমর ফারুক। এদের মধ্যে মাওলানা যোবায়র মাগরিবের নামাজের পর মাদরাসায় পৌঁছান আর অন্যরা মাদরাসায় পৌঁছে আসরের নামাজ আদায় করেন।

আসরের নামাজের পর মাওলানা বরিউল হক ছাত্রদের উদ্দেশে বয়ান করেন। মাগরিবের মাওলানা যোবায়ের ও মাওলানা রবিউল হক সাধারণ সাথী ও উলামায়ে কেরামের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন।

তাদের আগমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আরজাবাদ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘প্রতিবছর রমজান সামনে রেখে কাকরাইলের শীর্ষ মুরব্বিগণ আমাদের মাদরাসায় আসেন।

তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও এসেছেন এবং বয়ান করেছেন। এছাড়াও বৃহত্তর মিরপুরের উলামায়ে কেরামের সঙ্গে মিরপুর মারকাজের যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়টিও তাদের সামনে ছিলো বলে আমার মনে হয়েছে।’

তিনি মনে করেন, মুরব্বি বয়ানে আলেমদের মনোকষ্ট যেমন কিছুটা দূর হয়েছে একই সঙ্গে সাধারণ সাথীদেরও কিছু ভুল ভেঙেছে।

মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া আরও জানান, অনেকেই মিরপুর মারকাজের সাথীরা যে আচরণ করেছেন তা এখানে সরাসরি উল্লেখ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা রাজি হই নি। আমরা মনে করেছি, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হোক।

তারা যা করেছে তা আমরা করতে পারি না। মুরব্বিরাও মাওলানা সাদ ও মিরপুর মারকাজের দায়িত্বশীলদের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেন নি। ধর্মীয় যেকোনো ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের বক্তব্যই চূড়ান্ত বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য, মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে ঘিরে তাবলিগ জামাতে যে সংকট তৈরি হয়েছে তারই প্রেক্ষিতে ঢাকার মিরপুর মারকাজের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে উলামায়ে কেরাম দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

উলামায়ে কেরামের অভিযোগ তারা বারবার তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দেশের শীর্ষ আলেমদের নির্দেশনা মেনে কাজ করার অঙ্গীকার করার ঘোষণা দিলেও তারা শেষ পর্যন্ত কথা রাখে নি। এতে মনোক্ষুণ্ন হন আলেমগণ ও অনেক তাবলিগি সাথী।

অন্যদিকে মিরপুর মারকাজের দায়িত্বশীলগণ ঢাকা জেলা জোড়ের নামে মসজিদে মসজিদে মানুষ জমা করে উলামায়ে কেরাম ও দারুল দেওবন্দের নামে বিষদাগার শুরু করেন এবং মাওলানা সাদের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করতে থাকেন।

একইভাবে উলামায়ে কেরামের শ্রদ্ধাশীল সাথীরাও পৃথক জমায়েতের আয়োজন করে। এতে পরস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি হলে মিরপুরের এমপি আলাহজ ইলিয়াছ মোল্লা কিছু দিনের জন্য মিরপুর মারকাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। পরিস্থিতির উন্নতি হলে তিনি আবার মারকাজ খুলে দেন।

এমন নানাবিধ কারণে তাবলিগ জামাত নিয়ে মিরপুরের সাধারণ সাথী, উলামায়ে কেরাম, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা ভুল বোঝাবুঝির দেখা দেয়।

তাবলীগ ইস্যুতে হাটহাজারীতে আলেমদের ৪ সিদ্ধান্ত

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ