সাখাওয়াত উল্লাহ : যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় একটি মসজিদে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করে ইসলাম এবং মুসলিমদের নিয়ে ব্যঙ্গ করায় দুজন নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
খবরটি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ ৪ তারিখে এই নারীদের প্রকাশ করা একটি ফেসবুক ভিডিওকে কেন্দ্র করে তাদের আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।
এই ভিডিওতে দেখা যায়, ইসলামকে ব্যঙ্গ করে মসজিদের ভেতরে অনুপ্রবেশ করে চরম বিদ্বেষমূলক কটূক্তি করছে এই ভিডিওতে থাকা দুই নারী। তাদের পিছে তিন শিশু এবং একটি কুকুরের উপস্থিতিও বোঝা যায়।
রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা অ্যারিজোনার টেম্পেতে একটি মসজিদ দেখে তারা সেখানে নিজেদের গাড়ি থামিয়ে দেয়। এরপর তারা গাড়ি থেকে বেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের উপস্থিতি নিয়ে চরম ব্যঙ্গ করেন।
ভিডিওতে এক নারী বলেন, ‘তারা (মুসলিম) আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে এখন আমাদের দেশে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে। তা হতে দেওয়া যাবে না। তারা আমাদের করের টাকায় খায় এবং কখনই তাদের বিস্তার হতে দেওয়া যাবে না।’
তিনি এও বলেন, ‘এই মসজিদটিকে দেখো। কত বিশ্রী একটি মসজিদ, তাও আবার আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে! তারা আমাদের যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেবে।’
দিনটি রবিবার হওয়ায় মসজিদে কেউ ছিলেন না। তাতেই তারা মসজিদের পাশে থাকা একটি হালাল দোকানের সামনে যায় এবং এটি নিয়ে কটূক্তি করেন।
পাশের মসজিদে প্রবেশ করার সময় তারা ‘অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ’ সাইনবোর্ড না মেনেই মসজিদে ঢুকে পরে। সেখানে তারা বেশকিছু ইসলামি ন্যামপ্লেট এবং কাগজপত্র নিয়ে নেয়।
ধুলামুক্ত ঢাকা চাই ক্যাম্পিংয়ে অংশ নিন
এসময়ে পেছনে থাকা বাচ্চারা পাশে থাকা একটি রাইডে খেলতে যেতে চাইলে নারীটি বলেন, ‘সেখানে যাবে না, কে জানে এখানে কত জীবাণু রয়েছে।’
এছাড়াও মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় নারীটি তার কুকুরকে মসজিদের ভেতরে প্রস্রাব করতে নির্দেশ দেয় এবং অন্যদিকে ভিডিওর সব মানুষ হাসা শুরু করে।
এই ভিডিও প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়। চরম বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা এবং চুরির অভিযোগ এনে ভিডিওতে থাকা দুই নারীকে আটক করা হয়।
এ মসজিদের ইমাম আহমেদ আল আকৌম বলেছেন, ভিডিও দেখে মুসলিমরা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সবচেয়ে কষ্টকর ছিল এ বিষয়টি দেখে যে- ভিডিওতে থাকা শিশুদেরও বিদ্বেষমূলক শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, ইসলাম নিয়ে তাদের মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে।’
টেম্পের পুলিশ ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র সার্জেন্ট রোনাল্ড এলকোক বলেছেন, ওই দুই নারীকে আইনের আওতায় সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হবে যাতে করে অন্য কেউ এই বিদ্বেষ ছড়ানোর আগে দশবার ভেবে নেয়।
মুসলিম সমাজ যুক্তরাষ্ট্রেরই একটি অংশ, এবং মুসলিম ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্ব ভাবা যায় না।
সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস