শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


কাতারে আলনূরের ‘আদর্শ পরিবার গঠনে নারীর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আমেরিকা প্রবাসী প্রখ্যাত ইসলামী শিক্ষাবিদ ও মুবাল্লিগ মুফতি জামাল উদ্দিন বলেছেন, মানব সভ্যতার বিনির্মাণ ও আদর্শ পরিবার গঠনে নারীর ভূমিকা অনবদ্য। হাজার চেষ্টা করলেও কেউ নারীর অবদান অস্বীকার করতে পারবে না।

তাই ইসলাম নারী-পুরুষের সমানাধিকার নয় বরং নারীর অগ্রাধিকারে বিশ্বাসী।

গত ৯ মার্চ রাজধানী দোহায় কাতার ধর্মমন্ত্রণালয়ের বিন যায়িদ সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘আদর্শ পরিবার গঠনে নারীর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

আলনূর কালচারাল সেন্টার কাতার আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন।

উপস্থিত ছিলেন আলনূর কালচারাল সেন্টারের মহাপরিচালক প্রকৌশলী শোয়াইব কাশেম, গবেষণা ও প্রকাশনা পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম আমিনুল হক, উপদেষ্টা মীর হোসেন চৌধুরী ও শিক্ষা বিভাগীয় সহকারী পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির প্রাণবন্ত আলোচনায় মুফতি জামাল উদ্দিন বলেন, নারীর সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, বাসস্থান ও সম্মানজনক জীবনযাপনের ব্যবস্থা করা সকল পুরুষ অভিভাবকের নৈতিক ও ধর্মীয় কর্তব্য।

আমরা আজ দায়িত্ব পালনের চাইতে অধিকার আদায়ে বেশী সোচ্চার। আদর্শ পরিবার ও সুখী সমৃদ্ধ সমাজ গঠন এবং পরকালীন মুক্তির আন্দোলনে নারী পুরুষকে পরস্পর সহযোগী হতে হবে।

পবিত্র হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কন্যা সন্তানের জন্ম বরকতময়, কন্যা প্রতিপালন জাহান্নাম থেকে বাঁচার অবলম্বন আর মায়ের পদতলে রয়েছে জান্নাত।

উপস্থিত মা-বোনদের তিনি ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসলাম নারীদের ঘরের শোভা বানিয়ে সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনে সমাসীন করেছে।

পক্ষান্তরে পাশ্চাত্য সভ্যতা আধুনিকতার আবরণে নারীদের ভোগ্যপণ্যে পরিণত করেছে।

ইসলামের সুমহান আদর্শ ও সৌন্দর্যের সৌরভে সারা দুনিয়া আন্দোলিত। তবে এর যথাযথ প্রচারের জন্য প্রয়োজন একদল সুশিক্ষিত উদার মনের দাওয়াতকর্মী ও যুগোপযোগী ধর্মীয় শিক্ষার।

নবপ্রজন্মকে পৃথিবীর আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়তে চাইলে এর বিকল্প নেই।

অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন প্রধান অতিথির বক্তব্যকে সকলের জন্য দিক নির্দেশক ও পাথেয় হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এ ধরনের আলোচনা আমাদের আধ্যাত্মিকতার খোরাক যোগায় ও খোদা মুখী হতে সাহায্য করে।

তিনি এ মূল্যবান অনুষ্ঠান ও অন্যান্য সমাজ গঠন মূলক কার্যক্রমের জন্য আলনূর সেন্টারকে ধন্যবাদ জানান।

-ফাইলছবি

কাতারে আল নূর সেন্টারের আয়োজনে ‘বাংলা ভাষাসন্ধ্যা’


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ