শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


মিয়ানমারের ইন্ধনেই লঙ্কায় দাঙ্গা; ২০০ বাড়ি, ১১ মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মিয়ারমারের পর শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে মুসলিমদের উপর হামলা একই সূত্র ধরেই সংগঠিত হয়েছে। এতে ইন্ধন রয়েছে মিয়ানমারের বৌদ্ধদের।

জানা যায়, শ্রীলঙ্কায় মুসলমান এবং তাদের বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে উসকানি দিয়েছে মিয়ানমারের একজন বৌদ্ধ নেতা। অসিন উইরাথু নামের ওই ধর্মীয় নেতা শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সেখানকার বৌদ্ধদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলন।

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর একটি স্টেডিয়ামে তিনি বৌদ্ধ জমায়েতের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘মুসলমানদের বিতাড়িত করতে না পারলে এই অঞ্চল তারা একদিন দখল করে নেবে।’

মিয়ানমারের সাম্প্রতিককালে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে নিপীড়ন চলেছে তার পেছনে অসিন উইরাথুর সংগঠন ‘৯৬৯’ এর হাত রয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

বিভিন্ন বার্তা সংস্থার খবরে দেখা যায়, অসিন উইরাথু মুসলমান বিরোধী প্রচারণা জোরদার করার লক্ষ্যে তার সংগঠন ‘৯৬৯’ এবং ‘বৌদ্ধ রক্ষায় শ্রীলঙ্কান গ্রুপ’ একসাথে কাজ করতে পারে বলে অভিমত দেন।

শ্রীলঙ্কান সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন বুদুবালা সেনা। দুই বছরের মধ্যে ওই সংগঠনটির পতাকাতলে কয়েক হাজার বৌদ্ধ যুবক সমবেত হন।

কলম্বো স্টেডিয়ামে উইরাথু তার বক্তব্যে বলেছিলেন, বৌদ্ধরা সারাবিশ্বেই সংখ্যালঘু। আমরা যদি এদের রক্ষা করতে না পারি তা হলে একদিন আমরা শেষ হয়ে যাব। এই লক্ষ্য অর্জনে দুটি সংগঠনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে জরুরি অবস্থার মধ্যেও মুসলমানদের বাড়িঘরে হামলা, আগুন দেওয়া এবং নির্যাতনের পেছনে সেখানকার উগ্রবাদী বৌদ্ধ নেতাদের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

চলমান বৌদ্ধ-মুসলিম দাঙ্গায় শ্রীলঙ্কায় মুসলমানদের মালিকানাধীন দুই শতাধিক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ১১টি মসজিদ সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া নিহত হয়েছে ৩ জন আর আহত হয়েছে ২০ জন মানুষ।

শ্রীলংকায় মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা; ১০ মূলহোতা ১৪ দিনের রিমান্ডে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ