শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


বিশ্বে তৈরি পোশাক কারখানার ব্র্যান্ড এখন বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: তৈরি পোশাক কারখানা (ছবি-সংগৃহীত)২০১২ সালের নভেম্বরে তাজরীন ও ২০১৩ সালের এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসের পর দেশের তৈরি পোশাক খাতের কারখানা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল, তা পাল্টে দিয়েছে বাংলাদেশ।

তৈরি পোশাক শিল্পে উন্নতমানের সবুজ কারখানা (গ্রিন ফ্যাক্টরি) নির্মাণে সারাবিশ্বে এখন শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) হিসেবে, বিশ্বের প্রথম ১০টি উন্নতমানের কারখানার ৭টিরই অবস্থান বাংলাদেশে।

সম্প্রতি সংগঠনটি বাংলাদেশের ১৩টি পোশাক কারখানাকে প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন-লিড’ সনদ দিয়েছে। আর গোল্ড সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা ২০টি এবং সিলভার সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা ২৭টি। সাধারণভাবে পরিবেশবান্ধব হিসেবে সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা ৭টি।

পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কারখানাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে। নেতিবাচক ধারণা দূর করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আরও রাখবে শক্তিশালী ভূমিকা। এখন দেশের রফতানি আয়ের ৭৬ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক শিল্প খাত থেকে। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর হিসেবে, এ পর্যন্ত ৬৭টি গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল কারখানা ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসজিবিসির স্বীকৃতি পেয়েছে।

আরও ২২৭টি কারখানা পরিবেশবান্ধব কারখানা হিসেবে গড়ে উঠছে। এগুলো আগামী দুই বছরের মধ্যে এ সনদ পাবে।

অন্যদিকে, প্রতিবেশী ভারতের মাত্র পাঁচটি পোশাক কারখানা লিড সনদ পেয়েছে। সেদেশে এ তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য অপেক্ষায় আছে আরও ২০টি কারখানা। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের প্রতিযোগী পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম এ তালিকায় অনেক নিচে অবস্থান করছে।

তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের দাবি, ইউএসজিবিসির তালিকা অনুযায়ী পরিবেশবান্ধব কারখানার মান বিচারে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তিনটি কারখানাও বাংলাদেশে। এর মধ্যে দুটি নারায়ণগঞ্জে, অন্যটি পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে (রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা) অবস্থিত।

বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘তাজরীন ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর সারাবিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা শুরু হয়। গার্মেন্টসের দরাদরিতে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের শক্তি কিছুটা খর্ব হয়। বর্তমানে তৈরি পোশাকের এসব কারখানা গ্রিন কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ইতিবাচক ইমেজ গড়ে তুলেছে। এসব কারখানাই আগামীতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন,‘ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক এখন সারাবিশ্বে পরিচিত। তাজরীন ও রানা প্লাজা ধসের পরের নেতিবাচক অবস্থা কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গার্মেন্টস পণ্য আগামীতে দেশের রফতানি বাণিজ্যে আরও বেশি অবদান রাখবে।’


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ