রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারী ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী মুম্বাইয়ের আওরাঙ্গাবাদ শহরে অনুষ্ঠিত হয় তিন দিনব্যাপী ইজতেমা। মুম্বাইয়ের আওরাঙ্গাবাদ এলাকায় ৫৯৮ একর জমি সম্বিলিত এক প্রশস্ত মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই ইজতেমা।
মোম্বাই তাবলিগ মারকাজের তথ্য মোতাবেক পুরো হিন্দুস্তানের প্রায় সব রাজ্য থেকে মানুষের সমাগম হয় ইজতেমায়। বিশেষভাবে মোম্বাই, ভূপাল, নান্দাইর, পৌন, আহমাদাবাদ, সৌরত, কর্নোল, হায়দারাবাদ, কোলার ইত্যাদি শহর থেকে মুসল্লিগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও দেশ-বিদেশের আলেম-ওলামা ও তাবলিগের সাথীদের উপস্থিতে আওরঙ্গবাদের ইজতেমা ভারত বর্ষের অন্যতম ইজতেমা হিসেবে স্বীকৃত। প্রায় ৫০০ কোটি রুপি খরচ হয় পুরো ইজতেমা ময়দান আঞ্জাম দিতে।
ইজতেমায় নিরাপত্তার জন্য সরকারের তরফ থেকেও নিয়োজিত ছিল বিশেষ নিরাপত্তা কর্মী ও পুলিশ বাহিনী । এই ইজতেমায় অং গ্রহণকারী সুজাতা প্যাটেল নামের একজন হিন্দুধর্মালম্বী নারী নিরাপত্তা কর্মী ভারতীয় এক টিভি চ্যানেলে তার নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন। যা পরবর্তীতে ভাইরাল হয়।
তিনি বলেন, আমি ও আমার ১০ জন পুলিশ অফিসার এবং এক’শ কন্সটেবল আওরঙ্গবাদের ইজতেমায় নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য অংশগ্রহণ করি। আমি সেখানে যে পরিবেশ দেখেছি তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
তাদের এন্তেজাম এবং সুবিধাজনিত সব বন্দোবস্ত অামাকে অভিভূত করেছে। উদাহারণ দিতে গেল বলতে হয়, পুরো পাক-পবিত্র একটি অনন্য পরিবেশ।
বাত ব্যথার সুন্নতী চিকিৎসা হিজামা
তিনি ইজতেমায় আগত মেহমানদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি আগত মেহমানদের ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে তাদের পবিত্র উদ্দেশ্য দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে, দুনিয়াতে স্বর্গ নেমে এসেছে।
আমরা যে খেদমতের সুযোগের কথা বলি, আমার মনে হয়েছে আমি এই তিন দিনে সেইরকম-ই খেদমত আঞ্জাম দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আওরঙ্গবাদের ইজতেমায় খেদমত করার সুযোগ আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। আমি এখানে এসে খুবই আনন্দিত । আমি চাই, আল্লাহ আমাকে বারবার এমন খেদমত করার সুযোগ দিন।
আরও পড়ুন: জোড় ও ইজতেমার বিষয়ে কাকরাইল শুরার নতুন সিদ্ধান্ত
https://www.facebook.com/otvbd/videos/2102694523300621/?t=116