শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


মুরসিকে দেখতে মিসর যাবেন ব্রিটিশ এমপিরা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবরার আবদুল্লাহ: ব্রিটেনের একদল সিনিয়র এমপি মিসরের ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির সার্বিক অবস্থা দেখার অনুমতি চেয়েছেন।

তাদেরকে সাক্ষাতের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে মিসরীয় আদালত।

মুহাম্মদ মুরসির শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতির সংবাদের প্রেক্ষিতে তারা সাক্ষাতের উদ্যোগ নিয়েছেন।

২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যূত করা হয়। এরপর তিনি বন্দী জীবনযাপন করছেন।

৫ বছরের বন্দী জীবনে তার পরিবার তার সঙ্গে মাত্র দু’বার সাক্ষাতের অনুমতি পেয়েছেন। তিনি এখন তোরা কারাগারে বন্দী।

সরকারের ভাষ্য মতে সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসি সরকারি চিকিৎসা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে তার শারীরিক অবনতি হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ এমপিদের সাক্ষাতের অনুরোধ জানায়।

সাক্ষাৎ প্রত্যাশী এমপিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ফরেন এফিয়ার সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান স্যার ক্রিস্পিন ব্লান্ট, সাবেক আইনমন্ত্রী লর্ড ফ্লাক, হেল্থ সিলেক্ট কমিটির সদস্য পল ইউলিয়াম, সাবেক জিপি টিম মলোনি প্রমুখ।

ব্লান্ট বলেন, এটা খুবই উদ্বেগের বিষয় যে ড. মুরসির অবস্থা আন্তর্জাতিক ও মিসরীয় ভাষ্য অনুযায়ী শোচনীয়। আমরা মিসরীয় কর্তৃপক্ষকে এ অনুরোধ করেছি বন্দী মুরসি কোন অবস্থায় রয়েছে তা স্বচক্ষে দেখার ও বিচার করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যক্তিকেই এমন অমানবিক অবস্থায় বন্দী রাখা উচিৎ নয়। বিশেষত একজন প্রভাবশালী সাবেক জাতীয় নেতা যিনি জনসমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। এটা রাষ্ট্রের অবস্থায় অবশ্যই অশুভ পরিণতি ঢেকে আনতে পারে।

মুরসির ছেলে আবদুল্লাহ মুরসি বলেছেন, একজন মিসরীয় হিসেবে আমি চাই মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আমার বাবা মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট। যাকে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে আটকে রাখা হয়েছে। যথাযথ চিকিৎসার অভাবে আজ তার জীবন বিপন্ন।

তবে ব্রিটিশ এমপিরা এখনো মিসরীয় কর্তৃপক্ষের ভিসা ও সাক্ষাতের অনুমতি পান নি। অনুমতি পেলেই কেবল তারা মিসর ভ্রমণ করতে পারবে।

আরও পড়ুন : মিসরে যেভাবে ইসলামি আন্দোলনের হাল ধরছেন নারী কর্মীরা


সম্পর্কিত খবর