শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


আড়াই লাখ সরকারি শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের তাগিদ সচিব সভায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম

দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্য থাকা আড়াই লাখ পদে দ্রুত নিয়োগ শেষ করার তাগিদ দেয়া হলো সচিব সভায়। যদিও কর্মোপযোগী বেকারের সংখ্যা কমবেশি সাড়ে চার কোটি বলে জানা যায়।

তবে অন্য হিসাবে চাকরি প্রত্যাশী যোগ্য বেকারের সংখ্যা ৫৬ লাখের মতো। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সভাপতিত্ব করেন। সভায় সকল সচিব উপস্থিত ছিলেন। সভায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে শূন্য থাকা পদ পূরণের উপরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়।

এ ছাড়া সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের স্থান সংকুলানের বিকল্প ব্যবস্থা, উন্নয়ন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করাসহ আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সচেষ্ট থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বিবিএস-এর সর্বশেষ প্রকাশিত জরিপে দেখা যাচ্ছে, উচ্চ শিক্ষিতরা যে বেশি বেকার, তা দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন থেকেই বোঝা যায়। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় উত্তীর্ণ তিন লাখ ১৫ হাজার বেকার রয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার। আট লাখ ৫৩ হাজার জন মাধ্যমিক পাস করেছে। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে বেকার বসে আছে তিন লাখ ৯৯ হাজার। আর মোটেই শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই এমন বেকারের সংখ্যা চার লাখ ৩৯ হাজার। জরিপে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা বেকারদের ৫৬ শতাংশ ছয় মাস থেকে দুই বছরের বেশি সময় পর্যন্ত কাজ পাননি।

কমপক্ষে ছয় মাস বেকার ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ লোক। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষিতদের ৪৭ শতাংশ ছয় মাস থেকে দুই বছরের বেশি বেকার থাকে। কমপক্ষে ছয় মাস বেকার থাকে ৪৫ শতাংশ লোক। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষিতদের অর্ধেকই ছয় মাস বেকার থাকে।

৩৫ শতাংশ লোক ছয় মাস থেকে দুই বছরের বেশি সময় পর্যন্ত বেকার থাকে। সংশ্লিষ্ট নিয়োগ ক্ষেত্র যেমন- পিএসসি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোটা সংরক্ষণ রাখতে গিয়ে অনেক শূন্য পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি রাখতে হচ্ছে।

এ ছাড়া একটি পদের বিপরীতে কমবেশি হাজার খানেক আবেদন পড়ে আর তদ্বির হয় অন্তত দুই হাজার। সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের তদ্বির থাকে।

এ ছাড়া নিয়োগ কর্তৃপক্ষেরও অনেক সময় অনিয়ম করার প্রবণতা থাকে। ওই প্রবণতা রোধ করতেই আবার নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ