শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


কওমি সনদের আইন চূড়ান্ত হচ্ছে শিগগির

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস বা মাস্টার্স ডিগ্রি সনদের আইন চূড়ান্ত করেছে সরকার। আলেমদের দেয়া দাবি ও শর্ত মেনেই আইন চূড়ান্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিগুলো অনুসরণ করেই স্বীকৃতি দেয়া হবে বলে আলোচনা হয় এতে।

জানা যায়, বৈঠকে খসড়ার ওপর মতামত দিতে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, ধর্ম, অর্থ ও আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিবের কাছে ওই তারিখ থেকে সাত দিনের সময় নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।

কওমি মাদরাসা বোর্ডের পরিচালন/নিয়ন্ত্রণ কমিটিতে (আল-হাইআতুল উলিয়া লিল-জামিয়াতুল কওমিয়া বাংলাদেশ) চেয়ারম্যান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানসহ সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য রাখা হয়েছে বেফাক থেকে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগে তৈরিকৃত খসড়া অনুযায়ী, পরিচালন কমিটির অধীনে ৬টি কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আইন পাশ হবে।

বোর্ডগুলো হলো, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ, বেফাকুল মাদারাসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ, আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তালীম বাংলাদেশ, তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ এবং জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ।

পরিচালন কমিটি বা আল-হাইআতুল উলিয়ার প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। এই কমিটি নিবন্ধিত মাদরাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিসের সনদ মাস্টার্সের (ইসলামিক স্টাডিস এবং আরবি) সমমান বিবেচিত হবে। এই কমিটির অধীনে ও তত্ত্বাবধানে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

দাওরায়ে হাদিসের সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল ও সনদ তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক উপকমিটি গঠন করতে পারবে। এ কমিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ওই বিষয়গুলো অবহিত করবে।

কওমি মাদরাসা সনদের স্বীকৃতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে আলেমগণ আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এর আগে চারদলীয় সরকার আমলে মৌখিক স্বীকৃতি দেয়া হলেও তা আইনে কার্যকর হয়নি। ফলে আবারও আন্দোলনে নামেন আলেমগণ।

শেষ পর্যন্ত গত বছরের এপ্রিলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ৩০০ আলেমের সামনে কওমি মাদরাসা সনদের স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি গেজেটও প্রকাশ হয়।

কওমি মাদরাসায় কোচিং করতে হয় না কেনো?


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ