সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

মুর্শিদাবাদে নবাব সিরাজ উদ-দৌলার নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বহুদিন ধরে চলছিল আন্দোলন। অবশেষে মিলল সুফল। এবার পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পেতে চলেছে মুর্শিদাবাদ। বুধবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি জেলার শিক্ষাদরদীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে অান্দোলনরত রাজ্যের সংখ্যালঘু জনমানস।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী’ ও ‘ঐতিহাসিক’ বর্ণনা করে রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়ে অাসছে।

বর্ধমান, বহরমপুর, হরিহরপাড়া সহ অগণিত সভায় অামরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুলে ধরেছি। এছাড়া এবিষয়ে জমিয়তের পক্ষ থেকে সরকারকে চিঠিচাপাটিও করা হয়েছে। মুসলিম সমাজের শিক্ষা আন্দোলনে জমিয়ত বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

এই সিদ্ধান্তের দ্বারা মুখ্যমন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু তথা পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষদের উন্নয়নের জন্য অান্তরিক প্রচেষ্টাকেই সূচিত করে। অামরা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট অাবেদন জানাচ্ছি যে, বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার নামে মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হোক।

উল্লেখ্য, বছরের পর বছর ধরে মাওলানা সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দই সবার প্রথম মুর্শিদাবাদে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে ।

২০০৪ সালে ৩৪নং জাতীয় সড়কের পাশে বড়ুয়া মোড়ে ও ২০০৭ সালে রেজিনগর রেল কলোনীস্থিত ফুটবল মাঠে মুর্শিদাবাদে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সহ একাধিক দাবিতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের আহ্বানে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

২০১১ সালে মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতেই জমিয়তের নেতৃত্বে শত শত বাইকের একটি মিছিল বেলডাঙা জলিলীয়া মাদ্রাসা থেকে বহরমপুর কালেক্টরেট মোড় পর্যন্ত যায়। এছাড়া ব্লকে ব্লকে এই ইস্যুতে গণআন্দোলন পরিচালিত হয়।

২০১৪ সালে বহরমপুর গ্রান্ট হলের একটি সভায় মাওলানা বদরুদ্দীন অাজমল সাহেবের উপস্থিতিতে রাজ্য জমিয়তের সভাপতি মাওলানা সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরী সাহেব নবাব সিরাজ উদ দৌলার নামে মুর্শিদাবাদে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি বলিষ্ঠভাবে পেশ করেন।

২০১৬ সালে হরিহরপাড়ায় জেলা জমিয়তের সমাবেশে রাজ্য জমিয়তের সভাপতি মাওলানা সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরীর উপস্থিতিতে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, শ্রমপ্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, বিধায়ক নিয়ামত সেখদের সামনে রাজ্য জমিয়তের সম্পাদক মুফতি রফিকুল ইসলাম বলেন, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে স্বাধীনতা অান্দোলনের প্রথম শহীদ বলা যায়। তাঁর নামে মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় কেন হবে না?

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ইতিহাসে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

এমএসডি কলকাতা/ এইচজে


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ