বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


সৌদি আরবের ফতোয়ার সমর্থন করলো দারুল উলূম দেওবন্দ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম

ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসা সৌদি আরবের ধর্মীয় নেতা ও মুফতি সাহেবদের মোবাইল ফোনের রিংটোন হিসাবে কুরআন শরীফের আয়াত বা সুরা ব্যবহার হারাম ফতোয়ার সমর্থন করেছে।

দারুল উলুম দেওবন্দের ইফতা বিভাগের মুফতি আরিফ কাশ্মিরী বলেন, সৌদি আরবে জারি করা ফতোয়া অনেক গুরুত্বের দাবিদার। মোবাইল ফোনে রিংটোন হিসেবে কুরআন ব্যবহার হারাম। কারণ আপনি মোবাইলটি বহন করে টয়লেটে গেলে কুরআন শরীফ ও আযান রিংটোন হিসেবে ভেজে ওঠলে কুরআন বা আজানের অসম্মান করা হয়। এটা ইসলাম সমর্থন করে না।

এ ফতোয়া আরব, ভারত বা বিশ্বের অন্যান্য যে কোনো জায়গায় একই বিধান। তাই আরবদের জারি করা এ ফতোয়া কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

দারুল উলুম দেওবন্দসহ অনেক মাদরাসা থেকে এ ফতোয়া জারি করা হয়েছিলো। ইসলামী আইনবিদ, মুফতিগণ মোবাইল ফোনে রিংটোন হিসাবে কুরআনের আয়াত ব্যবহার করার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছে বহু আগ থেকেই। ২০০৯ সালে কানপুর ভিত্তিক একটি সংগঠন জামিয়া আশরাফ উল মাদারিস  একই নির্দেশপত্র জারি করেছিল।

কাশ্মীরী আরো বলেন, যদি কোন ব্যক্তি টয়লেটে থাকতে মোবাইল ফোনে কুরআনের আয়াতে শোনা যায় তাহলে এটা গুনাহহের কারণ হবে। পাশাপাশি বেশিরভাগ সময়ই মানুষ যখন ফোন রিসিভ করে তখন আয়াতের মাঝখানে অসম্পূর্ণ রেখে রিসিভ করা হয়। এটা অবৈধ কখনো আবার েগোনাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

দেওবন্দের মুফতি সাহেব আরো বলেন, আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করে বাইবেলের আয়াতগুলি রিংটোন ব্যবহার করে খ্রিস্টানরা তারা কোনো সমস্যা মনে করে না।  হিন্দুরাও শ্লোক রিংটোন হিসাবে ব্যবহার করে, কিন্তু তারা তাতে কোন ক্ষতি মনে করে না।

আমি উত্তর দিয়েছি যে আমি অন্য ধর্ম সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে যতটুকু জানি আয়াত রিংটোন  ব্যবহার করলে কুরআনের অসম্মান হয়। ইসলাম তাই এটাকে সমর্থন করে না।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ