আওয়ার ইসলাম : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা যে সংগ্রাম করছি এটা বিএনপির জন্য নয়, খালেদা জিয়ার জন্য নয়। এই সংগ্রাম দেশ, গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রাম।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে গণতন্ত্র অর্জন করেছিলাম সেই গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে লুণ্ঠিত করা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সমস্ত অধিকার হারা হয়েছে। তাদেরকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মুক্তদেশে সুন্দরভাবে বাস করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই অবস্থা আমাদের বদলে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের যে মানুষটি (বেগম জিয়া) গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি সংগ্রাম করলেন, যে নেত্রী অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করে নিয়ে আসলেন, সেই নেত্রীকে কারাগারের অন্ধকারে দিন কাটাতে হচ্ছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন রাজশাহীতে হেলিকপ্টারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন সরকারি টাকা খরচ করে। আর কারাগারে দিন কাটাতে হচ্ছে গণতন্ত্রের নেত্রীকে এটা কখনও গণতন্ত্র হতে পারে না। এটা সমান মাঠ হতে পারে না।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে খুন করা হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর গণতন্ত্রের জন্য আমরা এই সংগ্রাম করছি। খালেদা জিয়া সেই সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজকে তিনি কারাগারে। আমরা যারা বাহিরে আছি আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হবে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে সমস্ত শক্তি সংগঠিত করে আমাদেরকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’
নেতাকমীদের উদ্দেশ তিনি বলেন, ‘সরকারের একটা আশা ছিল দেশনেত্রীকে আটক করতে পারলে বিএনপি ভেঙ্গে যাবে। বিএনপি ভাঙ্গেনি বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়েছে। আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন-দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন-স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, ড.আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারমান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ, এনাম আহমেদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, গোলাম আকবর খন্দকার, মনিরুল হক চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, নারী নেত্রী হেলেন জেরিন খান ও বেবি নাজনিন প্রমুখ।