আবদুল্লাহ তামিম: অহংকার আল্লাহর গুণ। কোনো মানবের জন্য অহংকার করা উচিৎ নয়। কারণ অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করলাম, এরপর আকার-অবয়ব তৈরি করেছি। অতঃপর আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম -আদমকে সেজদা কর; তখন সবাই সেজদা করল। কিন্তু ইবলিস সেজদাকারীদের মধ্যে ছিল না। আল্লাহ বললেন: আমি যখন তোকে সেজদা করার আদেশ দিলাম তখন কিসে তোকে সেজদা করতে বাধা দিল? সে বলল: আমি তার চেয়ে উত্তম। আমাকে বানিয়েছেন আগুন দিয়ে; তাকে বানিয়েছেন মাটি দিয়ে। (সূরা আরাফ- ১১-১২)
নিশ্চয় তোমাদের যে ব্যক্তি বেশি তাকওয়াবান সে আল্লাহর নিকট বেশি সম্মানিত। (সূরা হুজুরাত-১৩)
অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কণ্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর। (সূরা লোকমান-১৭-১৮)
আমি আমার নিদর্শনসমূহ থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে রাখি, যারা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে অহংকার করে। (সূরা আ’রাফ-১৪৬)
পৃথিবীতে দম্ভভরে পদচারণা করো না। নিশ্চয় তুমি জমিনকে কখনোই বিদীর্ণ করতে পারবে না। (সূরা বনী ইসরাঈল-৩৭)
নিশ্চয় আল্লাহ পাক অহংকারকারীদের পছন্দ করেন না। (সূরা নাহল-২৩)
এমনিভাবে আল্লাহ পাক প্রত্যেক অহংকার-স্বৈরাচারী ব্যক্তির অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেন। (সূরা মুমিন-৩৫)
যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা অপমানিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরা মুমিন-৬০)